আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সামনে নির্বাচন কেন্দ্র করে সরকার নতুন আরেকটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, লাখ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীর নামে হয়রানিমূলক যেসব রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়েছিল, এখন সেই মামলাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে সাজা দেওয়া শুরু করেছে সরকার। অবৈধ পথে ক্ষমতায় থাকা এবং ভোটারবিহীনভাবে আগামী নির্বাচন নিবিঘ্নে অনুষ্ঠিত করতেই একের পর এক সাজা দেওয়া হচ্ছে। আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে নির্দোষ বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া রাষ্ট্রের নাৎসিবাদী চেহারা বিপজ্জনকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ভাসানটেক থানায় মামলায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে সোমবার বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে ৫ বছর কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রিজভীর দাবি, যে মামলায় তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে ওই স্থানে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। যদি আইন আদালত শেখ হাসিনার কব্জায় না থাকত, তা হলে এই মিথ্যা মামলায় সবাই খালাস পেত। শেখ হাসিনার নির্দেশেই এসব শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশ বিরোধী দলের আন্দোলন দমানোর জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে বানোয়াট মামলা করেছিল। এ মূহুর্তে ওই মামলায় সাজা দেওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দেশে-বিদেশে সরকারের অপকর্ম ক্রমান্বয়ে উন্মোচিত হয়ে পড়ায় জনদৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই এই সাজা দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন বিরোধী দল, বিরোধী মত অবৈধ সরকারের নানাবিধ নিপীড়নের শিকার হতে থাকবে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখেই বিএনপি নেতাকর্মীদের এ সাজা দেওয়া। নির্বাচনের সময় পর্যন্ত এই সরকার কত যে অমানবিক আচরণ করবে এটি তার একটি অন্যতম নমুনা।
এনটি