আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিজেপির উগ্র-ডানপন্থী নেতাদের দ্বারা ভারতীয় মুসলিমদের গণহত্যার আহ্বানের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
আজ সোমবার ইমরান খান প্রশ্ন করেন যে, এই বিষয়ে মোদি সরকারের নীরবতার অর্থ এই মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যকে সমর্থন করা কি না। তিনি আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই নজর দেওয়া এবং পদক্ষেপ নেওয়ার উপযুক্ত সময় এসেছে।’
ইমরান খানের মতে, বিজেপি সরকারের আমলে ভারতে বসবাসকারী সমস্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা শাস্তিবহির্ভূত হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের চরমপন্থী এজেন্ডা বাস্তব এবং আমাদের অঞ্চলে শান্তির জন্য বর্তমান হুমকি।’ ইমরান বলেন, ‘মুসলিম গণহত্যার আহ্বান গৃহযুদ্ধের জন্ম দিতে পারে।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে একই মত পোষণ করেছেন ভারতের প্রাক্তন নৌ-প্রধান এবং সিনিয়র সামরিক কমান্ডার অ্যাডমিরাল অরুণ প্রকাশ।
তিনি সতর্ক করেছেন যে, ভারত গৃহযুদ্ধে পর্যবসিত হতে পারে। কারণ দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব হিন্দু কট্টরপন্থীদের দ্বারা মুসলিমদের সাম্প্রতিক গণহত্যার আহ্বানের নিন্দা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। দ্য ওয়্যার’র সাথে একটি সাক্ষাৎকারে প্রকাশ বলেন, ‘মুসলিম গণহত্যা এবং জাতিগতভাবে নির্মূলের আহ্বানের বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের নীরবতা অশুভ, (এবং) এর সম্পূর্ণ নিন্দা করা এবং দৃঢ় পদক্ষেপ হওয়া উচিত।
এটির পাল্টা ফল হতে বাধ্য এবং পরবর্তী পদক্ষেপটি হতে পারে যুদ্ধ।’ ভারত গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি হতে পারে কিনা, এর জবাবে প্রকাশ বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই।’
উল্লেখ্য, গত মাসে ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের হরিদ্বার শহরে বিতর্কিত হিন্দুত্ববাদী নেতা ইয়াতি নরসিংহানন্দ আয়োজিত তিন দিনের ঘৃণামূলক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেয়া হয়। হিন্দু মহাসভার সচিব অন্নপূর্ণা মা হিন্দুদেরকে অস্ত্র কিনতে এবং গণহারে মুসলিম হত্যার করতে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যদি আমরা সৈনিক হয়ে যাই ,২০ লাখ মুসলিমকে হত্যা করি, তবে আমরা বিজয়ী হব।
-এটি