আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কাজাখস্তানে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সারা দেশে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। সেই বিক্ষোভ রূপ নিয়েছে সরকার বিরোধী আন্দোলনে । এদিকে বিক্ষোভকারীদের ওপরও ব্যাপক দমন পীড়ন শুরু করেছে দেশটির সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে দেশটির প্রেসিডেন্টের অনুরোধে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সৈন্য বাহিনী কাজাখস্তানে পৌঁছেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা আন্দোলন চলাকালীন কয়েকজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর কথাও নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স দেশটিতে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) আলমাতিতে রাতভর ভারী গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। আর এমন একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন বিবিসির একজন সাংবাদিক। কাজাখস্তানে এমন অস্থিরতার জন্য বিদেশি সন্ত্রাসীদের দায়ী করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাশিম-জোমার্ট টোকায়েভ।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেওয়া এক ভাষণে সমর্থনের জন্য রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থার (সিএসটিও) কাছে আবেদন করেন তিনি।
রাশিয়া, কাজাকিস্তান, বেলারুশ, কাজাখস্তান এবং আর্মেনিয়া এই সংস্থার অন্তর্গত। কাজাখস্তানের পাঠানো রুশ বাহিনীতে প্রায় ২৫০০ সৈন্য আছে বলে জানা গেছে। তারা শান্তিরক্ষা বাহিনী হিসেবে কয়েকদিন বা সপ্তাহের জন্য দেশটির সামরিক স্থাপনা রক্ষা করবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ান বার্তা সংস্থা আরআইএ ।
রুশ সেনা মোতায়েনের বিষয়টি তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আলমাতিতে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ১৮ জন সদস্য মারা গেছেন। বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে ‘দাঙ্গাকারী’ হিসেবে কয়েক ডজন লোককে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কাজাখস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২ হাজার ২৯৮ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। গত বোরবার (২ জানুয়ারি) গাড়িতে ব্যবহার্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) এর দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার কারণে বিক্ষোভ করতে সাধারণ জনতা রাস্তায় নেমে আসে। বৃহস্পতিবার ৬ মাস পর জ্বালানির মূল্য সীমা পুনরুদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েও বিক্ষোভ থামাতে ব্যর্থ হয় দেশটির সরকার। অন্যান্য রাজনৈতিক অভিযোগকে অন্তর্ভুক্ত করে চলতে থাকে এই বিক্ষোভ।
-এটি