আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার ইদলিবে ছয়দিন ধরে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। ইদলিবই শেষ স্থান যেখানে রাশিয়া ও প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পারেনি। কিন্তু এখন ইদলিব দখলের মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা।
তুরস্কের গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়েছে, ইদলিব দখল করতে গিয়ে ওই অঞ্চলকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে রাশিয়া। বিমান থেকে মুহুর্মুহু বোমা ফেলে ধ্বংস করা হচ্ছে বেসামরিক মানুষদের ঘড়-বাড়ি। আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি স্কুল, খামার ও কলকারখানা।
মানবাধিকার সংস্থা হোয়াইট হেলমেট একটি টুইট বার্তায় জানায়, গত কয়েকদিন ধরে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান গৃহপালিত পশু ও মুরগির খামার, খাবার উৎপাদনকারী কারখানা ও অঞ্চলটির প্রধান পানি সরবরাহকারী স্টেশনে হামলা চালিয়েছে। এতে করে আগে থেকেই পানির জন্য যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল মানুষ, তা আরো বেড়ে গেছে।
রাশিয়ার যুদ্ধবিমান সোমবারও একটি পানি সরবরাহ স্টেশনে হামলা চালায়।
হোয়াইট হেলমেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুধুমাত্র ২০২১ সালে রাশিয়ার আক্রমণে ২২৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৬৫ জন শিশু ও ৩৮ জন নারী রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাত করার জন্য গত ১১ বছর ধরে যুদ্ধ করছে তার প্রতিপক্ষরা। তবে আসাদকে প্রথম থেকে সমর্থন দিয়ে গেছে রাশিয়া। তাকে ক্ষমতায় রাখতে সাধারণ মানুষদের কথা চিন্তা না করে দেশটিতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে মস্কো।
ইতোমধ্যে সিরিয়ার স্বাস্থ্যবিভাগ ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষের কাজের জায়গাও কমে গেছে। ইদলিবের অবস্থা ভয়াবহ। সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় ৭৫ ভাগকে বাইরের দেশের সাহায্যের ওপর নির্ভর করে চলতে হয়। ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অনেককে তাঁবুতে থাকতে হয়। নতুন করে ইদলিবে হামলার তীব্রতা বাড়ায় এখন মানুষের কষ্ট আরো বেড়েছে।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ।
এনটি