আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি ফোন করে বললেন যে, জনৈক বিদআতপন্থী প্রচলিত মিলাদের সমর্থনে বলেছে যে, হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. নাকি প্রতি বছর মিলাদ করতেন। একবার মিলাদের জন্য তার কাছে খরচপাতি ছিল না তো স্বপ্নে দেখলেন যে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলছেন, কিছু না থাকলে খেজুর দিয়েই মিলাদ কর!!
ওই ব্যক্তি জানতে চাচ্ছিলেন যে, এই রেওয়ায়েত সহীহ কি না এবং তা কোন কিতাবে আছে।
আমি তাকে বললাম, ভাই, এটা তো একদম তাজা বানানো গল্প। মওজু রেওয়ায়েতের কিতাবসমূহেও আপনি তা পাবেন না। কে না জানে যে, প্রচলিত মিলাদ নবী-যুগ ও খোলাফায়ে রাশেদীন ও সাহাবা-যুগের শত শত বছর পরে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অনুকরণে শুরু হয়েছে। অতএব এর আলোচনা তো কোনো সহীহ হাদীসের কিতাবে থাকা সম্ভবই নয়।
বিদআতপন্থীদের এই নতুন সৃষ্ট রেওয়ায়েতটি থেকেও বোঝা যায় যে, তাঁদের কাছে মিলাদ মাহফিলের সবচেয়ে বড় বিষয় হল খাবার-দাবার এবং জশন-জুলুস।
অথচ এটা সবাই জানেন যে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্মবৃত্তান্ত ও তাঁর পবিত্র সীরাত আলোচনা দ্বীনের একটা জরুরি আমল, যেটা যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে হতে পারে। আর এর জন্য খরচপাতিরও প্রয়োজন নেই, অতএব অর্থ না থাকার কারণে তা থেকে বিরত থাকা বা বঞ্চিত থাকার প্রশ্নই সৃষ্টি হয় না।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নবীপ্রেমের সঠিক অর্থ বোঝার এবং তার হক আদায় করার তাওফীক দান করুন। আমাদেরকে কথার উম্মত না বানিয়ে কাজের উম্মত বানিয়ে দিন। আমীন।- লেখাটি মাসিক আলকাউসার থেকে নেয়া।
-কেএল