আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার ঘটনায় তুরস্ক ও সৌদি আরবের সম্পর্ক খারাপ হয়। এরপর থেকে রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান আর সৌদিতে যাননি। এবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এক বার্তায় সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছে।
সোমবার সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে জানিয়েছেন, আগামী মাসে তিনি সৌদি সফরে যাবেন।
গত মে মাসে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি সফরে যান। তিনি সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করে জানিয়েছিলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে। এরদোয়ানও গত ডিসেম্বরে সৌদির যুবরাজের সঙ্গে কাতারে একটি বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।
খাসোগি হত্যার পর দুই দেশের সম্পর্ক খুবই খারাপ হয়ে যায়। এরদোয়ান তখন বলেছিলেন, সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি অবশ্য সৌদির যুবরাজ ও ক্ষমতার আসল চাবিকাঠি মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম নেননি।
এরদোয়ানের মন্তব্যের জবাবে সৌদি আরবও প্রত্যাঘাত করে। তুরস্কের বিরুদ্ধে অঘোষিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা চালু হয়। তুরস্কে না যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। ফলে তুরস্কের অর্থনীতির ওপর চাপ পড়ে। এই মুহূর্তে তুরস্কের অর্থনীতি রীতিমতো চাপে।
এ দিকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা রিপোর্ট দিয়েছেন যে, যুবরাজের সম্মতিতেই খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে। যে ১৫ জনের দল খাসোগিকে হত্যা করার জন্য গিয়েছিল, তার মধ্যে সাতজন যুবরাজের এলিট দেহরক্ষী বাহিনীর সদস্য। তারা যুবরাজ ছাড়া আর কাউকে রিপোর্ট করে না।
এনটি