মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।
হে লোক সকল! তোমরা অবশিষ্ট জীবন সমাপ্ত করার জন্যে বাড়ি-ঘরে ফিরে যাচ্ছো৷ সুতরাং জীবনের যেটুকু সময় বাকী আছে, তোমাদের সাধ্য অনুযায়ী সেটুকু সময়কে পরকালের ভালো কাজে ব্যয় করো৷
তোমরা দুনিয়াতে এসেছো৷ সকাল-সন্ধ্যা অতিবাহিত করে দিনগুলো পাড়ি দিচ্ছো৷ মনে রেখো! এই দুনিয়া হলো ধোঁকার সমষ্টি৷ যারা কবরে চলে গেছো, তাদের থেকে উপদেশ গ্রহণ করো৷
(তারা দুনিয়ার কোন কিছু নিয়ে যেতে পারেনি৷ সকলেই খালি হাতে বিদায় নিয়েছে৷ অথচ, তাদের অনেকেই রাজ-প্রাসাদ ও বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক ছিলো৷ তাদের স্বজনরাও তার উপার্জিত কোন কিছু সাথে দিতে রাজি নয়৷ বরঞ্চ মারা যাওয়ার সাথে সাথেই সেগুলো ভাগ-বাটুরা নিয়ে ঝগড়ায় লেগে যায়- অনুবাদক)
সুতরাং এসব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করো৷ বেখবর হয়ে বসে থেকে সময় নষ্ট করো না৷
হে লোক সকল! বলো- যারা দুনিয়ার সন্তান ছিলো৷ দুনিয়ার ভাই ছিলো৷ দুনিয়াকে পরকালের উপর অগ্রাধিকার দিয়ে দুনিয়াকে আপন মনে করে দুনিয়াকে আবাদ করেছিলো৷ এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত দুনিয়া দ্বারা উপকৃত হয়েছিলো- তারা আজ কোথায়? দুনিয়া কী তাদেরকে অপমান-অপদস্ত আর লাঞ্ছিত করে এখান থেকে বের করে দেয়নি?
সুতরাং তোমরাও দুনিয়াকে সেখানে নিক্ষেপ করে রাখো, যেখানে আল্লাহ তাআলা নিক্ষেপ করে রেখেছেন৷ এবং পরকাল হাসিল করার চেষ্টায় উঠে পড়ে লেগে যাও৷ এখন থেকেই লেগে যাও৷
হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু ১২ বছর খেলাফতের দায়িত্বে ছিলেন৷ রাষ্ট্রদ্রোহীরা ৪৯ দিন গৃহবন্দী করে রেখে ১২ জিলহজ, ৩৫ হিজরীতে শহীদ করে দেয়৷ তখন তিনি পবিত্র কুরআনুল কারীমের তিলাওয়াতে নিমগ্ন ছিলেন৷ রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু৷
সূত্র! আকওয়ালে সালফ
-এটি