মাওলানা মাকসুদুর রহমান সাইমন।। আমাদের কে আগে জানতে হবে মুহাদ্দিস কাকে বলে। মুহাদ্দিস বলা হয় যারা হাদীস নিয়ে গবেষণা করেন তাদের কে মুহাদ্দিস বলা হয়। মুহাদ্দিস এর একটি লকব হচ্ছে আমীরুল মুমীন ফিল হাদিস। আর হাদিস বলা হয় যেটা রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা বার্তা চাল চলন থেকে বুঝা যায়।
হাদীস বিশারদগণ হাদিস বর্ণনা কিংবা হাদীস শাস্ত্রের পাঠদানের জন্য যে, সব শর্ত এবং গুনাবলীর কথা উল্লেখ করেছেন, সে গুলোতো শিরোধার্য। পটিয়ার মুফতি আযিযুল হক সাহেব রহ. এর মতে মুহাদ্দিস কে রাসূল স. এর প্রেমে বিহ্বল হতে হবে। তার কথা বার্তা ওচাল চলনে, সর্ব অবস্হায় সুন্নতের প্রকাশ পেতে হবে।
তিনি এমন শুকনো মুহাদ্দিসের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন, যিনি শুধু বলাবলিতে জীবন শেষ করে দিয়েছেন, কিন্তু নিজের মধ্যে রুহানী হালত ও কৈফিয়ত সৃষ্টি করেননি।
আর নুবুওয়াতের স্বর্গীয় বারিধারায় কলব কে সিক্ত করেনি। কবি বলেন, নবীর প্রেমবিহীন যে বুখারী শরীফ পড়ায় বুখারীর স্থলে তার বোখার (জ্বর) আসে।
হযরত মাওলানা শাহ সোলায়মান পাহলোয়ারী একটি ঘটনা বলেন, মাওলানা ফযলে রহমান রহ.এর সামনে একবার হাদীস শরীফ এর পাঠ চলছিলো।
হঠাৎ তিনি বললেন صلي الله عليه وسلم এর অনুবাদ কর। আমি অনুবাদ করে শুনালাম। তিনি বললেন হয়নি। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি প্রেমাস্পদ, প্রেমের ভাষায় বলো। এরপর তিনি নিজেই বললেন, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানে হচ্ছে আল্লাহ তাকে ভালবাসুন এবং নিরাপদে রাখুন।
এবাক্যটি শুনে আমার মধ্যে এমন এক অবস্থা সৃষ্টি হলো যে, আমি নারায়ে তাকবীর দিয়ে উঠলাম। সুতরাং পটিয়ার মুফতি আযিযুল হক সাহেব (রহ.) ঐ ধরনের মুহাদ্দিসের জন্যেই হাদীসের পাঠদান বৈধ মনে করতেন।
যার দিলে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভালবাসায় উদ্ভাসিত এবং যার জীবনে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত প্রতিফলিত।
তিনি আরো বলতেন, মুহাদ্দিসকে হাদীসের রুপে রুপায়িত হতে হবে।
-এটি