বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


অধিকৃত গোলানে বসতির সংখ্যা দ্বিগুন করার ঘোষণা ইসরায়েলের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত জানিয়েছেন, ইসরায়েল অধিকৃত সিরিয়ার ভূখণ্ড গোলান মালভূমিতে বসতির সংখ্যা দ্বিগুন করা হবে। এই লক্ষ্যে তার সরকার কয়েক লাখ ডলারের পরিকল্পনা করেছে।

রোববার গোলানে মন্ত্রিসভার এক বিশেষ বৈঠকে তিনি এই তথ্য জানান।

বেনেত বলেন, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের এই ভূখণ্ডের ওপর ইসরাইলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি এবং নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখনই ইসরাইলের এই অবস্থানের বিরোধিতা না করার পরিপ্রেক্ষিতেই ইসরাইল এই অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে।

তিনি বলেন, ‘এটিই আমাদের জন্য সময়। এটিই গোলান মালভূমির জন্য সময়।’

তিনি আরো বলেন, ‘বসতি স্থাপন করার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘ ও অচল কয়েক বছরের পর, আজ আমাদের লক্ষ্য হলো গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের বসতি দ্বিগুন করা।’

নতুন পরিকল্পনায় পাঁচ বছরের মধ্যে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের জন্য সাত হাজার তিন শ’ নতুন ঘর তৈরি করা হবে।

১৯৬৭ সালের জুনে ছয় দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মালভূমি অঞ্চল দখল করে নেয় ইসরাইল। পরে ১৯৮১ সালে অঞ্চলটিকে ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত করে নেয়ার ঘোষণা দেয় দেশটি।

গোলান মালভূমি ১৯৬৭ সালে ইসরাইলের দখলে যাওয়ার পর অঞ্চলটির কুনেইতরা ও ফিক শহরসহ ১৩৭টি গ্রাম ও ১১২টি ফার্ম থেকে এক লাখ ৩১ হাজার সিরিয়ান আরবকে ওই অঞ্চল থেকে বহিস্কার করা হয়।

বর্তমানে মাত্র চারটি গ্রামে ২০ হাজার সিরিয়ান আরব বাস করছেন।

ইসরাইলের সাথে এই ভূখণ্ড সংযুক্ত করার পর থেকে বিভিন্ন সময়ই ইসরাইলি ইহুদিদের এই অঞ্চলে বসতি গড়ে দেয়া হয়।

বর্তমানে গোলান মালভূমিতে ৩০ এর বেশি বসতিতে অন্তত ২৫ হাজার ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী বাস করছে।

জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলের অধিকারকে ‘অবৈধ দখলদারিত্ব’ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে প্রথম গোলান মালভূমিকে ইসরাইলের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

সূত্র: আলজাজিরা ও মিডল ইস্ট আই।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ