মুযযাম্মিল হক উমায়ের।। তিনি ইসলামের শুরুর দিকে ইসলাম গ্রহণ করেন৷ দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশ জন সাহাবীদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন ছিলেন৷
অহুদের যুদ্ধে যারা হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে দৃঢ় থেকে যুদ্ধ করেছিলেন, তিনি তাঁদেরই একজন৷ এবং নিজের হাত এবং জান দ্বারা হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কাফেরদের আক্রমন থেকে রক্ষা করেছিলেন৷
হাতে অধিক তীর লেগে যাওয়ার কারণে অবশেষে হাতটি অবস হয়ে গিয়েছিলো৷ এবং শরীরে চব্বিশটি আঘাতের চিহৃ ছিলো৷ যার কারণে হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর নাম দিয়েছিলেন ‘তালহাতুল খায়র’ তথা কল্যাণকামী তালহা৷
তিনি দৈনিক এক হাজার দেরহাম খরচ করতেন৷ একদিন তিনি এক লাখ দেরহাম সদকাহ করেন, অথচ সেদিন মসজিদে পরে যাওয়ার মতো তাঁর কাছে কোন জামা ছিলো না৷ তথাপি তিনি সেই টাকা থেকে কোন জামা ক্রয় করেননি৷ বরঞ্চ সবগুলো টাকা তিনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্যে সদকাহ করে দিয়েছিলেন৷
তিনি বলতেন, যারা ঘরে টাকা-পয়সা রেখে রাত যাপন করে, তারা মূলত ধোঁকায় আছে৷ কারণ, তারা জানেনা রাতে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাদের উপর কোন ধরনের বিপদ চেপে বসে৷
তাঁর অবস্থা ছিলো, টাকা হাতে আসলে মানুষদের মধ্যে ভাগ না করে দেয়া পর্যন্ত তাঁর ঘুম আসতো না৷
তাঁর স্ত্রী সু‘দা রাদিয়াল্লাহু তাআলা বলেন, একদিন তিনি চিন্তিত অবস্থায় ঘরে আসেন৷ আমি কারণ জানতে চাই৷ উত্তরে বলেন, আমার কাছে অনেক সম্পদ জমে গেছে, আমি সেগুলো নিয়েই চিন্তিত আছি৷ স্ত্রী বললেন, এতে চিন্তার এমন কী আছে? ব্যস, এগুলো দান করে দেন, তাহলেই তো সব সমাধান হয়ে যায়৷ স্ত্রীর কথা শুনে তিনি সমস্ত সম্পদ দান করে দেন৷ একটি দেরহামও তিনি নিজের কাছে রাখেননি৷ তাঁর সম্পদ সংরক্ষণকারীর বর্ণনা হলো, সেদিন তিনি চার লাখ দেরহাম দান করেছিলেন৷ সুবহানাল্লাহু তাআলা৷
তিনি ৩৬ হিজরীতে জামাল এর যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন৷ ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন৷ তাঁর কবর বসরায় অবস্থিত৷ মানুষ যিয়ারতের জন্যে সেখানে যায়৷ রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু৷
সূত্র: আকওয়ালে সালফ
-এটি