আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি অনানুষ্ঠানিক স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার এ রুল দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
উইঘুরদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত জন্মনিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ্যকরণ ব্যবস্থার কারণে প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের প্যানেলটি আইনজীবী ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠিত হয়। ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ আইনজীবী স্যার জিওফ্রে নাইস। তিনিই ট্রাইব্যুনালের রুল পড়ে শোনান।
জিওফ্রে নাইস বলেন, উইঘুর ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দীর্ঘ মেয়াদে কমানোর জন্য চীন একটি ইচ্ছাকৃত, পদ্ধতিগত ও সমন্বিত নীতির প্রয়োগ করেছে বলে এই প্যানেলের কাছে সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।
তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের প্যানেল বিশ্বাস করে- চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিনজিয়াং অঞ্চলে মুসলিম সংখ্যালঘুদের নির্যাতন-নিপীড়নের প্রাথমিক দায় বহন করেন।
ট্রাইব্যুনালের প্যানেল আরও বলেছে, তারা উইঘুর জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, নির্যাতন ও যৌন সহিংসতা সংগঠনের প্রমাণ পেয়েছেন।
অনানুষ্ঠানিক স্বাধীন এই ট্রাইব্যুনালের রুলের কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই।
তবে চীন সরকার জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ট্রাইব্যুনালের রুলিংয়ের প্রতিক্রিয়ায় চীনের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, এটি একটি মেকি ট্রাইব্যুনাল। জনগণকে প্রতারিত ও বিভ্রান্ত করার জন্য কিছু চীনবিরোধী গোষ্ঠীর ব্যবহৃত একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার এই ট্রাইব্যুনাল।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন বন্দিশালায় ১০ লাখের মতো লোককে (যাদের বেশিরভাগ উইঘুর জনগোষ্ঠীর) চীন আটকে রেখেছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন ও সাবেক বন্দিরা এই বন্দিশালাগুলোকে নাৎসি জার্মানির সময়কার ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের’ সঙ্গে তুলনা করেছে।