বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ব্রাজিল থেকে ইসলামি দেশগুলোতে রপ্তানি হচ্ছে হালাল পণ্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ব্রাজিলের সরকার বলেছে যে, তারা নতুন বাজার অর্জনের সাথে সাথে ইসলামী দেশগুলিতে হালাল পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে। ব্রাজিলের কৃষি উপমন্ত্রী ইসলামিক দেশগুলিতে হালাল পণ্য রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন।

ব্রাজিলের কৃষি উপমন্ত্রী ফ্লাভিও পেটারলো বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম রপ্তানিকারক ইসলামি দেশসমূহে কফি, গরুর মাংস এবং সয়াবিনের মতো হালাল খাদ্যদ্রব্য সমূহের রপ্তানি হার বাড়াতে চায়।

পেটারিলো সোমবার সাও পাওলোতে হালাল পণ্য সম্পর্কিত ব্রাজিলের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের বলেছিলেন যে, তার দেশ তাদের বাজারে প্রবেশাধিকার বাড়াতে এবং ভুট্টা, গরুর মাংস, মুরগির মাংস ও কাঁচা চিনি ছাড়াও অন্যান্য কৃষি পণ্য বিক্রি করতে ইন্দোনেশিয়া, লেবানন এবং মরক্কোর সাথে আলোচনা করছে।

তিনি আরো বলেছেন, পেটারিলো যোগ করেছেন ব্রাজিল থেক যে সকল পণ্য রপ্তানি করা হয়, যেগুলো আরও বৃদ্ধি করা হবে।

আরব-ব্রাজিলিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, ৫৭টি OIC সদস্য রাষ্ট্র ২০২০ সালে গম, ভুট্টা, চিনি, চাল, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য সহ $১৯০.৫ বিলিয়ন মূল্যের খাদ্য আমদানি করেছে।

পেটারলু গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ব্রাজিল থেকে রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে প্রায় অর্ধের পরিমাণ পণ্য OIC সদস্য দেশগুলির মাত্র ৫টি দেশে রপ্তানি করা হয়। OIC সদস্য দেশগুলির মধ্যে তুরস্ক, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব ও বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আমদানিকারক দেশ।

তিনি মিশরের সাথে ব্রাজিলের সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তির সুবিধা উল্লেখ করে বলেন: ব্রাজিল নতুন বাজারে পৌঁছানোর এবং যে পণ্যগুলি বিক্রি করে তাতে বৈচিত্র্য আনতে তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ব্রাজিলের উপ-কৃষিমন্ত্রী চীনকে তার দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, চীনে আমাদের মার্কেট শেয়ার ২১ শতাংশ রয়েছ; কিন্তু আমরা জানি যে GCC এবং মুসলিম বিশ্বে অংশগ্রহণ প্রসারিত করার সুযোগ রয়েছে এবং ব্রাজিল বিশ্ব খাদ্য বাণিজ্যে তার অংশ বাড়াতে চায়।

ব্রাজিল বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক এবং গরুর মাংস ও মুরগি সহ হালাল মাংসের উৎপাদনকারী দেশ, এসকল হালাল পশু ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী জবাই করা হয় এবং পরবর্তীতে সেগুলো বিভিন্ন ইসলামিক দেশে রপ্তানি করা হয়।

ইসলামি বিশ্বের অর্থনীতির অবস্থার আলোকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে মুসলমানরা খাদ্যের জন্য প্রায় ১.১৭ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায় যে ২০২৪ সাল নাগাদ মুসলমানদের খাদ্যের জন্য ১.৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ