বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ইউক্রেনে সেনা না পাঠানোর ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সঙ্গে বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘণ্টার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ঘোষণাটি দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং বিবিসি নিউজ তথ্যটি জানিয়েছে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে ইউক্রেনে আক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন জো বাইডেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে আক্রমণ চালালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাবে না। কিন্তু ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্ররোচনা ও উসকানির অভিযোগ আনেন পুতিন। এছাড়া পূর্ব ইউরোপে সামরিক জোট ন্যাটোর বিস্তার না করা এবং রাশিয়ার আশেপাশে বিধ্বংসী অস্ত্রের মোতায়েন না করার দাবিও জানিয়েছিল মস্কো।

এবারের ভার্চুয়াল বৈঠকের পরদিন বুধবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন দাবি করেন, ইউক্রেন দখলের জন্য সম্ভাব্য রুশ অভিযান মোকাবিলা করতে আমি ইউক্রেনে মার্কিন সৈন্য মোতায়েনের নির্দেশ দেব না।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের কাছে বাইডেন বলেছেন, এটি (ইউক্রেনে সৈন্য মোতায়েন) আমাদের বিবেচনাধীন নয়। রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানে ওয়াশিংটন মস্কোর বিরুদ্ধে একতরফাভাবে শক্তি প্রয়োগ করবে, এমন চিন্তা এই মুহূর্তে আমাদের বিবেচনায় নেই। কিন্তু সত্যি যদি আক্রমণের ঘটনা ঘটে; তখন এর পরিণাম হবে ভয়াবহ।

হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বুধবার জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর সম্ভাবনা বাদ দিলেও, অন্যান্য বহু উপায়ে ওয়াশিংটন কিয়েভের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে পারে।

উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন বরাবরই অভিযোগ করে আসছে, ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র ইউক্রেনের সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সৈন্য আগে থেকেই মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। দেশটির আশঙ্কা, ২০১৪ সালে রাশিয়া যেভাবে ক্রিমিয়া দখল করে নিয়েছিল এবারও ঠিক একইভাবে ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে পারে। এতে তাদের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হবে।

ওয়াশিংটন বলছে, রাশিয়া এমন কিছু করলে পশ্চিমারা দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন।

মস্কোর দাবি, রুশ সেনাবাহিনী এখনো নিজস্ব ভূখণ্ডেই অবস্থান করছে। সেখানে তারা আত্মরক্ষামূলক কর্মকাণ্ডই পরিচালনা করছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ