আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: হোয়াইট হাউসের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা অ্যান্থনি ফাউচি শুক্রবার বলেছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন কতটা ছোঁয়াচে ও গুরুতর তা পুরোপুরি বুঝতে বিজ্ঞানীদের দুই সপ্তাহ লাগতে পারে। ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষকে টিকা ও বুস্টার শট নিতে হবে।
হোয়াইট হাউসের কভিড বিষয়ক নজরদারি টিম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দেওয়া আগের একটি বার্তার পুনরাবৃত্তি করে বলছে, ওমিক্রন উদ্বেগের বিষয়।
ডা. ফাউচি নতুন তথ্য উপস্থাপন করে দেখান, মডার্না ও ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা অ্যান্টিবডিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলছে। তিনি টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) পরিচালক রোশেল ওয়ালেনস্কি বলেছেন, তার সংস্থা যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কাজ করছে যাতে দ্রুত জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের শনাক্ত করতে পারে।
আরও বলেন, সিডিসি এই বছরের শুরুর তুলনায় এখন অনেক বেশি কার্যকরভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে।
ওয়ালেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, যদিও ওমিক্রনের দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ডেল্টা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে এবং সারা দেশে ৯৯.৯ শতাংশ লোক এ ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হচ্ছেন, বিশেষ করে যারা টিকা নেননি তাদের মধ্যেই এই সংখ্যা সর্বাধিক ।
হোয়াইট হাউসের কভিড-১৯ বিষয়ক সমন্বয়কারী জেফ জিয়েন্টস সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার ২২ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি বুস্টার। মে মাসের পর একদিনে টিকা দেওয়ার সংখ্যায় এদিন ছিল সর্বোচ্চ।
জিয়েন্টস বলেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় বাইডেন প্রশাসন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকা ও বুস্টার ডোজ, বাচ্চাদের টিকা দেওয়া, বিনা মূল্যে বাড়িতে পরীক্ষা করার যন্ত্র সরবরাহ, ভ্রমণের নিয়ম কঠোর করা এবং বিশ্ববাসীর জন্য টিকার ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী বিতরণের জন্য ১২০ কোটি টিকা দান করেছে যা অন্যান্য দেশের মোট সংখ্যার তুলনায় বেশি। শুধু শুক্রবারই ১কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা পাঠিয়েছে, যার মধ্যে ৯০ লাখ আফ্রিকার জন্য দেওয়া হয়েছে।
এনটি