আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিশরের কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুরাকীর্তি ইউনিট সেদেশের এয়ার পুলিশের সহযোগিতায় পাচার হওয়ার আগে ১৩টি ইসলামিক পাণ্ডুলিপি শনাক্ত ও জব্দ করা করতে সক্ষম হয়েছে।
মিশরের পুরাকীর্তি সুপ্রিম কাউন্সিলের মহাসচিব ঘোষণা করেছেন যে, কায়রো বিমানবন্দরের পুরাকীর্তি ইউনিট ১৭, ১৮ এবং ১৯ শতাব্দীর অন্তর্গত ১৩টি পাণ্ডুলিপি শনাক্ত করে সেগুলো জব্দ করেছে।
এছাড়াও এর সাথে প্যাপিরাস কাগজের তিনটি স্ক্রোল এবং অটোমান আমলের মুদ্রা’ও উদ্ধার করা হয়েছ। এগুলোর মধ্যে সংরক্ষণের অভাবে প্যাপিরাস স্ক্রোলগুলো খারাপ হতে শুরু করেছে।
কীভাবে এই প্রাচীন নিদর্শনগুলি আবিষ্কৃত এবং বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সে সম্পর্কে তিনি বলেন: কায়রো বিমানবন্দরের পুরাকীর্তি ইউনিট, যাত্রী নিরাপত্তা পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পায় যে যাত্রীদের একটি ব্যাগের মধ্যে প্রাচীন জিনিসপত্র রয়েছে বলে সন্দেহ হচ্ছে। এর পরে পুরাকীর্তি কমিশনের ইসলামিক মনুমেন্টস বিভাগের পরিদর্শক মালাক নাশির নেতৃত্বে পুরাকীর্তি সুপ্রিম কাউন্সিল এবং ন্যাশনাল বুকস অ্যান্ড ডকুমেন্টস সেন্টারে প্রত্নসামগ্রীর একটি বিশেষ কমিশন গঠিত হয়। এই কমিটি উদ্ধারকৃত জিনিস অতি প্রাচীন বলে নিশ্চিত করে এবং সেগুলো জব্দ করার নির্দেশ দেয়।
তিনি বলেন প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এসকল পাণ্ডুলিপিগুলি বাজেয়াপ্ত করার পর, অবিলম্বে সেগুলো পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের জন্য কপটিক যাদুঘরে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পুরাকীর্তি কমিশনের প্রধান মালাক নাশি আবিষ্কৃত পাণ্ডুলিপির বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে বলেন: সতর্কতার সাথে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে এটি জানা গেছে যে, উদ্ধারকৃত পাণ্ডুলিপিগুলোর মধ্যে ইসলামিক আইনশাস্ত্রের একটি বই (ইসলামী ফিকাহ শাস্ত্র), বিশপ মাইকেল এবং বিশপ অ্যাট্রিবের আধ্যাত্মিক ওষুধ, কপ্টিক এবং আরবি ভাষায় মহান লেন্ট প্রার্থনার পাণ্ডুলিপি এবং হযরত মুহাম্মদের নাম দিয়ে শুরু হওয়া একটি দোয়ার বই রয়েছে। এছাড়া্ও এর মধ্যে মেসোপটেমিয়াতে পবিত্র গীতসংহিতার একটি পাণ্ডুলিপিও রয়েছে। সূত্র: ইকনা
-এটি