আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দস্যুমুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের ফুসফুস খ্যাত সুন্দরবন কেন্দ্রিক জীবন জীবিকা এখন আগের চেয়ে নিরাপদ।
স্বস্তির নি:স্বাস ফেলছে জেলে, মাওয়াল ও স্থানীয়রা। বনজীবী এসব মানুষের কাছে সুন্দরবন এখন সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। তবে, দস্যুমুক্ত রেখে সম্ভাবনার এই ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান সংস্লিষ্টদের।
সাতক্ষীরার আব্দুল খালেক। সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরাই তার একমাত্র জীবিকা। সেই জীবিকার জন্য তাকে বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। চার বছর আগে দস্যুরা তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলো দুই বার। প্রতিবারই মুক্তিপণ দিয়ে জীবন নিয়ে ফিরে এসেছেন তিনি।
মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় তাকে দিয়ে বিভিন্ন নৌকায় ডাকাতি পর্যন্ত করিয়েছে দস্যুরা। তবে, এখন সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়ার খবরে খালেকের মত বনজীবীদের চোখে মুখে স্বস্তির ছাপ।
তবে, সুন্দরবন কী আসলেই দস্যুমুক্ত হয়েছে এমন প্রশ্ন অনেকের। স্থানীয়বাসিন্দারা বলছেন, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটনা ঘটলেও আগের তুলনায় অনেকটা শান্ত সুন্দরবন।
দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা রাখতে চায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই জন্য সুন্দরবনে দুটি স্থায়ী ক্যাম্প পাচ্ছে র্যাব।
-এটি