রফিকুল ইসলাম জসিম,
নিজস্ব প্রতিবেদক
মানবজীবনে ভ্রমণ নেশা একবার যার মনন-মস্তিষ্কে জেঁকে বসবে, তাকে আর ফেরায় কে? জাগতিক সব দায়-দায়িত্ব পালনের ফাঁকফোকড়েই বেরিয়ে পড়ে।
আজকে এমন একজন ভ্রমণপাগল মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো যিনি বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটনের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কমলগঞ্জে মোঃ লোকমান হোসেন৷ এ পর্যন্ত দেশের ৫০টি জেলায় ভ্রমণ করেছেন।
লোকমান হোসেন বলেন, ‘দেশের ৫০ জেলায় ভ্রমণ এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি পথে চলতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জকেই মোকাবিলা করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি পর্যটন সমৃদ্ধ দেশ। এখানে দেখার অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে। মানুষের মন ভাল ও সুস্থ রাখতে হলে প্রত্যক মানুষকে দেশ ভ্রমণ করতে হবে। ভ্রমণ আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
মোঃ লোকমান হোসেন জন্ম স্থান মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায়৷ মাধবপুর ইউনিয়নের ভাষানীগাঁওে রাজিব উল্ল্যার ও মেয়ের আবজুন কোলে ১৯৯৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন ভান্ডারীগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবং এসএসসি কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এবং এইচএসসি কমলগঞ্জ সরকারি গন মহা সরকারি কলেজে অনার্স কমপ্লিট করেছেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ডিপার্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টে।
দুই বোন ও এক বোনের মধ্যে লোকমান হোসেন মেজ। ভাই-বোন কিংবা পরিবারের কেউই এই অঙ্গনে নেই। তাই শুরুতে পরিবার সমর্থন ছিল না। অনেক যুদ্ধ করে তবেই নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম গাইড সদস্য হিসেবে এছাড়াও সেচ্ছায় রক্তদান কমিটিতে ও তিনি বাংলাদেশ ছাএলীগ মৌলভীবাজার জেলা শাখার একজন কর্মী ৷ তার একমাত্র স্বপ্ন একদিন সারা পৃথিবী ঘুরবে এবং বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটনের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের নাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চান।
লোকমান ভ্রমণপাগল। তার ফেসবুকে চোখ রাখলেই ধারণা পাওয়া যায়। নিজের ফেসবুকে তার ভ্রমণের অসংখ্য ‘ফটো অ্যালবাম রয়েছে। ঘোরার জন্য লোকমানের পছন্দের জায়গা সুন্দরবন আর সেন্টমার্টিন। এই পযন্ত সুন্দরবন ৫ বার আর সেন্টমার্টিন ২ বার গিয়েছেন। তার ভাষায়, ‘সুন্দরবন আমার মোস্ট ফেবারিট প্লেস। এতোবার সুন্দরবন যাওয়া প্রসঙ্গে লোকমান বলেন, এখানে বার বার যেতে মন চায় আর যতদিন পৃথিবীতে বাঁচবো সুন্দরবনে প্রতি বছর হলে একবার যাবো ইনশাআল্লাহ
পরবর্তীতে ২০১৪ সাল থেকে হেরিটেজ ট্যুর শুরু করনে তিনি। সিলেটে জাফলং, বিছানা কান্দি ছিল তার প্রথম ভ্রমণ। পরে তিনি একজন অস্ট্রেলিয়ান পর্যটক কাছ থেকে ভ্রমণের উৎসাহ পেয়েছেন৷ তারপর তার মা মেয়ের আবজুন সাহায্যের হাত লোকমানের এই চলার পথকে আরো বেগবান করেছে। আগামী মাসে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য তিনি ইউরোপে যাচ্ছেন। সেখানে থেকে ৪ বছরের মধ্যে ইউরোপের সব কয়টি দেশ ভ্রমণ করবেন বলে তিনি জানান। তবে দেশের বাইরে ভ্রমণ থেকে তার নিজে দেশে ঐতিহাসিক স্থানগুলো ভ্রমণের বেশি পছন্দ করেন। এবং দেশে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এগুলো রক্ষা করতে ভূমিকা রাখতে চান৷
-এটি