যাকওয়ানুল হক চৌধুরী
সিলেট থেকে
অনির্দৃষ্টকালের জন্য সিলেটে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। সোমাবার ভোর ৬টা থেকে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সিলেট বিভাগজুড়ে শুরু হয়েছে ধর্মঘট।অভ্যন্তরীণ বাস চলাচল বন্ধের পাশাপাশি সিলেট থেকে অবরোধের কারণে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি, হঠাৎ করে পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে এসএসসি পরীক্ষার্থী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পড়তে হয়েছে বিড়ম্বনায়।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পরিবহন ধর্মঘটে সিলেটে বাস, ট্রাক কিছুই চলছে না। বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকরা পিকেটিং করছেন, অনেক জায়গায় রাস্তার মধ্যখানে ট্রাক রেখে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাস্তা। এতে প্রাইভেট যানবাহনসহ ধর্মঘটের আওতামুক্ত পরিবহন চলতে অনেকটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কোন গাড়ি আসলে ঝাপিয়ে পড়েন শ্রমিকগণ।
কোনরকম যানবাহন না থাকায় সকল মানুষ পায়ে হেটে চলাচল ছাড়া বিকল্প পাচ্ছেন না। মাঝেমধ্যে রিকশায় চলাচল করলেও মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অনেক জায়গায় চলছে মোটরসাইকেলের রাজত্ব, সুযোগে চালকরাও হাঁকাচ্ছেন লাগামহীন ভাড়া। শেখঘাট পয়েন্ট ও হুমায়ুন রশিদ চত্বরে দুয়েকটা এম্বুল্যান্সকেও দেখা গেছে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলতে।
তবে নগরের অভ্যন্তরে পায়ে হেটে হলেও কোনরকম গন্তব্যে পৌঁছা গেলেও বিপাকে আছেন কর্মজীবীরা। যারা শহর থেকে বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে অফিস করেন তাদের অসহায়ত্ব দেখা গেছে। সেই সাথে পরীক্ষার্থীরাও রিজার্ভ গাড়ি নিয়েও চলাচল করতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও মোড়ে মোড়ে চালকদের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে নিম্ন আয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীরা অনেকেই ভোরে বের হয়ে পায়ে হেটে পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে ছুটা শুরু করেছিলেন।
তাদের দাবী হলো- ১.সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং বি ১৪১৮) নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার। ২. সাধারণ শ্রমিকদের উপর সিলেটের ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সব ধরণের হয়রানি বন্ধ। ৩. মেয়াদ উত্তীর্ণ শেরপুর সেতু, শেওলা সেতু, লামাকাজী সেতু, ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু, ছোয়ারা সেতু, শাহপরান সেতুর টোল আদায় ও লিজ বন্ধ।
৪. বিভিন্ন পৌরসভার নামে সব প্রকার টোল আদায় বন্ধ করা। ৫. সিলেটের চৌহাট্টাসহ বিভিন্ন স্থানে কার-মাইক্রোবাস, লেগুনা, সিএনজি অটোরিক্সা সহ ছোট গাড়ির জন্য পার্কিং স্থানের ব্যবস্থা করা।
-এটি