নুর আহমেদ সিদ্দিকী: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম বলেন, সারা দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। লাগামহীন ও পাগলা ঘোড়ার ন্যায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। তার সাথে যুক্ত হলো ডিজেল ও কেরোসিনের দাম । বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। সরকার নির্বাচনের ইশতেহারে ১০ টাকা দরে চাউল খাওয়ানোর ঘোষণা দিলেও বাস্তবে তা আকাশ পাতাল ব্যবধান। গণপরিবহনে ভাড়াবৃদ্ধি জনগণের জন্য মরার উপর খরার ঘা হয়েছে। অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে জনগণকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনুন।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বাদ জুমা চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাতাব্বর, দক্ষিণ জেলা সভাপতি মুজাহিদ সগীর আহমদ চৌধুরী, নগর সেক্রেটারি আলহাজ্ব মুহাম্মদ আল-ইকবাল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রিদওয়ানুল হক শামসী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, সংখ্যালঘু সম্পাদক মাওলানা রফিকুল আলম, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল করীম, যুব আন্দোলন নগর সভাপতি মুহা. তাজুল ইসলাম শাহীন, শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ওয়াইজ হোসেন ভূঁইয়া, শ্রমিকনেতা ইব্রাহিম খলিল, ছাত্র আন্দোলন নগর সভাপতি মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, নতুনভাবে ডিজেল- কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার পথ সুগম করেছে সরকার। বাজারে দলীয় সিন্ডিকেটে ভরে গেছে। তাদের কারসাজিতে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এ নিয়ে সরকারের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ আমরা দেখছি না। অনতিবিলম্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনতে না পারলে দেশ দুর্ভিক্ষের কবলে পতিত হতে পারে। তাই সকল সিন্ডিকেট এবং তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় জনবিস্ফোরণ হলে সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
দাবি না মানলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচি দেয়ারও হুমকি দেন নেতারা।
বিক্ষোভ সমাবেশ পরবর্তী বিশাল মিছিল আন্দরকিল্লা, লালদিঘী ও জেলাপরিষদসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে। পরে সংক্ষিপ্ত মুনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল সমাপ্ত হয়।
-এএ