আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানায় দায়েরকৃত একটি চুরি মামলার আসামি ধরতে গিয়ে ওই আসামির ভাগ্নে শাকিল (৫০) পুলিশকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
ঘটনার শিকার হয়েছেন এসআই রাজিব হোসেন, এএসআই মামুন ও কনস্টেবল শিল্পী আক্তার। তাদের মধ্যে এসআই রাজিবের হাতের আঙুল দ্বি-খণ্ডিত হয়ে গেছে। এছাড়া মামুনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাদের রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার গ্রেফতারকৃত শাকিলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টঙ্গী পূর্ব থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী রুমানা বেগমের দায়ের করা মামলার আসামি রাজধানীর গুলশান থানা এলাকার বাসিন্দা আসামির ভাগ্নে শাকিলের বাসায় অবস্থান করছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। এ খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ১১টায় গুলশান থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ সদস্যরা শাকিলের বাসায় যান।
সেখানে আসামি না পেয়ে শাকিলের বাবার সঙ্গে ওই বাড়িতে বসে পুলিশ সদস্যরা কথার বলার সময় শাকিল বাসায় ঢুকে পুলিশের উপস্থিতি দেখে এর কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে পুলিশ ও শাকিলের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে শাকিল ঘরের ভেতর থেকে ধাঁরালো অস্ত্র নিয়ে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। হামলা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশ সদস্যরা গুরুতর আহত হন।
হামলাকারীর ধারালো ছোরার আঘাতে এসআই রাজিব হোসেনের ডান হাতের একটি আঙুল দ্বি-খণ্ডিত হয়ে যায় এবং এএসআই মামুনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখমের সৃষ্টি হয়। ঘটনা টের পেয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থানরত গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার এবং হামলাকারী শাকিলকে গ্রেফতার করে।
পরে আহতদের মধ্যে এসআই রাজিব ও এএসআই মামুনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসআই রাজিবেব হাতের আঙুলে অপারেশন করা হয়েছে। আটককৃত শাকিলকে রাতেই টঙ্গী পূর্ব থানায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার গুলশান থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গুলশান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত শাকিলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
এনটি