মিছবাহ উদ্দীন আরজু
মহেশখালী প্রতিনিধি>
জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (চট্টগ্রাম জোন) (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জনতাবাজার-গোরকঘাটা জেলা মহাসড়ক (জেড-১০০৪) উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন হয়েছে ৷
বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টার সময় মহেশখালীর ডিজিটাল আইল্যান্ড মাঠে উক্ত প্রকল্পের ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (এমপি)৷
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহেশখালী প্রান্তে স্থানীয় সাংসদ, মেয়র, সরকারি কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন৷
জানা যায়, জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (চট্টগ্রাম জোন) (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় জনতাবাজার-গোরকঘাটা জেলা মহাসড়কটির প্রকল্প ব্যায় ৫৭৭৪.৫৮ লক্ষ টাকা। এতে ২৭.২৩ কিঃ মিঃ সার্ফেসিং (ডিবিএস), ২৬.৬০ কিঃ মিঃ মজবুতিকরণ, ২৭.২৩ কিঃ মিঃ প্রশস্তকরণ, ৬৩০.০০ মিটার রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণ, ৮ (আট) টি আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ, ৭০০.০০ মিটার সসার ড্রেইন নির্মাণ এবং ৩০০০.০০ মিটার কংক্রিট স্লোপ প্রটেকশন ইত্যাদি কাজ করা হয় ৷
উল্লেখ্য, জনতাবাজার-গোরকঘাটা সড়কটি সড়ক ও জনপথ অধিপ্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা মহাসড়ক। মহেশখালী উপজেলায় অবস্থিত মহেশখালী দ্বীপটি খুবই প্রাচীন এবং অপরূপ সৌন্দর্য মন্ডিত। উক্ত উপজেলায় আদিনাথ মন্দির দর্শন করার জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যটক আসেন।
এছাড়া লবণ, চিংড়ি এবং পান ও সুপারী চাষে এ দ্বীপ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সড়কটি মহেশখালী উপজেলার একমাত্র প্রধান সড়ক এবং ৮ (আট) টি ইউনিয়নের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। বর্ণিত সড়কটি ঘিরে মহেশখালীর অর্থনীতি আবর্তিত।
উল্লেখিত সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে উপজেলা সদরসহ কক্সবাজার, পেকুয়া, চকরিয়া, চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র যাতায়াত করে থাকেন। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান হতে আগত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও মহেশখালীতে উৎপাদিত লবণ, চিংড়ি ও পান দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত সড়ক পথ দিয়ে আনা নেয়া করা হয়।
এছাড়াও মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাই সড়কটির গুরুত্ব অপরিসীম। সম্প্রতি সড়কটি জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (চট্টগ্রাম জোন) (২য় পর্যায়) এর আওতায় ১২ ফুট হতে ১৮ ফুটে উন্নীতকরণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
-এএ