।।যাকওয়ানুল হক চৌধুরী।।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় সিলেটে চলছে বাস ধর্মঘট। মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে শ্রমিক ধর্মঘট। পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা সিলেটে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে বলে জানা গেছে।
অনেকে গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে উদ্দেশ্যে রওনা করেন। দুই একটি সিএনজি অটোরিকশা পাওয়া গেলেও ভাড়া হাঁকছে কয়েকগুণ বেশি।
অনেকে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা দিতে বের হয়েছেন। কিন্তু রাস্তায় এসে জানতে পারেন গাড়ি বন্ধ।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকে দক্ষিণ সুরমা কদমতলী বাস টার্মিনালসহ আশপাশ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার ভোর থেকে সিলেট থেকে কোন দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। সেই সাথে সিলেট-জকিগঞ্জ ও তামাবিল সড়কেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অনেকেই গন্তব্যে যেতে পিকআপ, কেউ বাসে, কেউবা মোটরসাইকেলে, আবার কেউ কেউ হেঁটেই রওয়ানা হতে দেখা যায়।
শ্রমিকরা বলছেন,পরিবহন ব্যবসা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত। এরমধ্যে করোনাভাইরাস ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যখন ব্যবসাটি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে তখনই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমাদের দাঁবি না মানলে আরও কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘হঠাৎ করে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের পরিবহন খাতে নতুন সংকটের সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। জ্বালানী তেলের দাম বাড়লে গাড়ি ভাড়াসহ পরিবহন খরচ বাড়বে। এর প্রভাব সকল স্তরে পড়বে। তাই আমাদের দাবি সরকার জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পরিহার করবে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে সিলেটে ৪৮ ঘন্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। যদি এই সময়ের মধ্যে ডিজেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।’
-কেএল