আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কুমিল্লায় মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় করা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবালসহ চারজনের আরো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কান্তি নাথ এ আদেশ দেন।
দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ওই চারজনকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন দিনের মঞ্জুর করেন। তবে তাদের আপাতত কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে ফোন করা রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার মসজিদের সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ।
এ দিকে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে সহিংসতা ও ভাঙচুরের পুলিশের দায়ের করা মামলায় ১৭ আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার কুমিলল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক চন্দন কান্তি নাথ এ আদেশ দেন।
কুমিল্লার কোর্ট পরিদর্শক সালাউদ্দিন আল মাহমুদ বলেন, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন মামলার ১৮ আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক ১৭ আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপর এক আসামির বয়স ১৮ না হওয়ায় তাকে নারী ও শিশু আদালতে পাঠানো হয়।
গত ১৩ অক্টোবর মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার ঘটনায় কুমিাল্লা নগরীর ঠাকুরপাড়া এলাকায় রক্ষাকালী মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, আসামিরা আপাতত কুমিল্লা কারাগারে থাকবে। রিমান্ডে থাকা গত ১২ দিনের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রয়োজন হলে তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মন্দির ও পূজামণ্ডপে ভাঙচুরের ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় এখন পর্যন্ত ১১ মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাতটি, সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি, দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ৯১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
-এটি