আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদী জে আকিবের জ্ঞান ফিরেছে। তিনি হাসপাতালের আইসিইউ বেডে এখন নড়াচড়া করছেন।
রোববার (৩১ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আকিবের চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে থাকা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান।
তিনি বলেন, শক্ত কিছুর আঘাতে আকিবের মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল। অস্ত্রোপচার করে সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় তার জ্ঞান ফিরেছে। তবে এখনও তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আকিবের বাবা গোলাম ফারুক বলেন, আমার ছেলের জন্য সবাই দোয়া করবেন, যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। মেডিকেলের ছাত্রদের আমি বলবো, তারা যেন রাজনীতির নামে নিজেরা মারামারি না করে।
এর আগে চিকিৎসাধীন আকিবের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ছবিতে আকিবের মাথায় ব্যান্ডেজ দেখা যায় এবং ওই ব্যান্ডেজের ওপর লেখা- ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না।’
গত শুক্র এবং শনিবার চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আকিবকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে চমেকের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সাদ মোহাম্মদ গালিব (২১), আহসানুল কবির রুমন (২১), জাহিদুল ইসলাম জিসান (২১), মাহাদি বিন হাশিম (২৪), আসিফ বিন তাকি (২৫), ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (২১), মাহতাব উদ্দিন রাফি (২১), জাহিদুল আলম জিসান (২১), সৌরভ বেপারী (২১), মো. আনিস (২১), রক্তিম দে (২১), এইচ এম আসহাব উদ্দিন (২১), তানভীর ইসলাম (২১), নাজমুস সাদাত আসিফ (২১), এনামুল হাসান সীমান্ত (২১) ও রিজওয়ান আহমেদ (২১)।
এনটি