আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাবনায় আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় আসা সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিনের গাড়ি বহরের একটি মাইক্রোবাস থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে সুজানগর উপজেলার রানীনগর বাজারে এই ঘটনা ঘটে। অস্ত্র ও মাইক্রোবাসটি জব্দ করে আমিনপুর থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় রানীনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বর্ধিত সভায় নিজ সমর্থকদের গাড়ি বহর নিয়ে রানীনগর বাজারে আসেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বহরের সঙ্গে আসা একটি কালো মাইক্রোবাসে তল্লাসী করে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। পরে যাচাই বাছাই শেষে তারা নিশ্চিত করে একটি ওয়ান শূট্যারগানটি লাইসেন্সকৃত ও শটগানটি অবৈধ।
‘প্রাথমিক ভাবে লাইসেন্সকৃত অস্ত্রটি সুজানগর পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জনির বাবার নামে ইস্যু করা বলে জানা গেছে। কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হওয়ার পর বিস্তারিত বলতে পারবো।’
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বলেন, সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ২য় ধাপের নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর। অধিকাংশ ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিনের নিজস্ব লোকজন মনোনয়ন না পাওয়ায় দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছেন। নিজে নেতৃত্ব দিয়ে এসব ইউনিয়নে নৌকার ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাতেই ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন।
শুক্রবার রানীনগর ইউনিয়নের পূর্বনির্ধারিত সভায়ও তিনি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে উপস্থিত হন। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে পারেনি। বহরে থাকা প্রতিটি গাড়িতেই অবৈধ অস্ত্র ছিল, কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পারায় তারা দ্রুত সেগুলো সরিয়ে ফেলে।
তিনি আরও বলেন, রানীনগর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী তৌফিকুল ইসলাম পীযুষ এর বিপরীতে উপজেলা চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক টুটুল কাজী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। সভায় বিশৃঙ্খলা করতেই তারা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সশস্ত্র অবস্থায় এসেছিলেন।
সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, আমার গাড়ি বহর থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। বিদ্রোহী প্রার্থীও মদদ দেওয়ার বিষয়টিও সত্য নয়। উপজেলা আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
-এএ