আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তদের হাতে ছয়জন খুনের ঘটনায় আরও চার রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাত থেকে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উখিয়ার ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি (কমিউনিটি নেতা) মো. শফি উল্লাহ, ক্যাম্পটির ব্লক মাঝি ফরিদ হোসেন, জাহেদ হোসেন ও মো. হাশিম।
এ নিয়ে ওই ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এজাহারভুক্ত পাঁচজনসহ ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আগে গ্রেপ্তাররা হলেন- মুজিবুর রহমান (১৯), দিলদার মাবুদ ওরফে পারভেজ (৩২), মোহাম্মদ আইয়ুব (৩৭), ফেরদৌস আমিন (৪০), আব্দুল মজিদ (২৪), মোহাম্মদ আমিন (৩৫), মোহাম্মদ ইউনুস ওরফে ফয়েজ (২৫), জাফর আলম (৪৫), মোহাম্মদ জাহিদ (৪০), মোহাম্মাদ আমিন (৪৮)।
গত ২২ অক্টোবর ভোররাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-৫২ ব্লকের ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসায়’ একদল দুষ্কৃতিকারী হামলা চালায়। এতে মাদ্রাসাটির ছাত্র-শিক্ষকসহ ৬ জন নিহত হন। এ সময় অস্ত্র ও গুলিসহ ঘটনাস্থল থেকে মুজিবুর রহমান (১৯) নামের এক রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)।
উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন বলেন, দুষ্কৃতিকারিদের হামলায় ছয়জন রোহিঙ্গা খুনের ঘটনার পর থেকে পুলিশ ও এপিবিএনসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সবশেষ সোমবার রাতে উখিয়ার ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ও এপিবিএন যৌথ অভিযান চালিয়ে মো. শফি উল্লাহ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে মঙ্গলবার ভোরে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ফরিদ হোসেন, জাহেদ হোসেন ও মো. হাশিম নামের আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এনটি