আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অিাওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া উপ কমিটির সহকারী সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির।
গতকাল সোমবার ( ২৫ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়া প্রার্থীরা হলেন- কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সহসভাপতি ও কোলা ইউনিয়নে মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল হোসেন, নিয়ামতপুর ইউপির প্রার্থী মো. লিয়াকত হোসেন ও রায়গ্রাম ইউপির প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন মন্টু।
সূত্রমতে, উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে ফেরার সময় শহরের নিমতলা মসজিদ এলাকায় নামাজ আদায় করার জন্য প্রস্তুতির সময় একদল যুবক তাঁদের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। ওই যুবকেরা তাঁদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে শাসান বলেও জানিয়েছে সূত্র।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেছেন, এমন ঘটনা শুধু ঝিনাইদহ নয় বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায় ঘটেছে। তিনি মনে করেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকজন প্রভাব খাটিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়ে আসছেন।
তার মতে, ভোট চুরির রাজনীতি মধ্যেই বাংলাদেশ নির্বাচন নিয়ে ‘সন্ত্রাসী তৎপরতা’ শুরু হয়েছে।
এদিকে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পর দলটির জেলা নেতারা অবিলম্বে এই মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি তাঁদের সব প্রার্থী যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
দলটির কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সহসভাপতি ও কোলা ইউনিয়নে মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে তাঁরা ছয়জন একসঙ্গে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যান। সেখান থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে তারা উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে নামাজ আদায় করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় মসজিদের গলির মধ্যে আসামাত্রই সাত থেকে আটজন যুবক তাঁদের কাছ থেকে মনোনয়নপত্রগুলো জোর করে ছিনিয়ে নেন। তাঁরা মনে করেন, এটা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
বাবুল হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই তাঁরা নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে আজ তাঁরা লিখিত অভিযোগ দিতে পারেননি, তবে শিগগিরই অভিযোগ জমা দেবেন বলে জানান। তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন—এমন ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, তার কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন কয়েকজন। যাঁদের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন, তিনি তাঁদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। আগামী ২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ফলে তাঁদের এখনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
এনটি