আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ট্রাফিক আইন না মেনে গাড়ি চালানো, ফিটনেসবিহীন ও অবৈধ যানবাহনের কারণে মহাসড়কে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী বেপরোয়া গতির যান চলাচল।
সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার পর অভিযান শুরু করেছে বিআরটিএ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মদনপুর বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশের এলাকায় সংস্থাটির কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো।
গত ১৫ আগস্ট রাতে এশিয়ান হাইওয়ের গোলাকান্দাইলে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং একজন আহত হন। পরদিন সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত এবং আহত হন ১২ জন।
বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোকে দায়ী করেন প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া মহাসড়কে নিষিদ্ধ ও ছোট যানবাহনের চলাচলও দায়ী কম নয়।
অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে ২০ টি মামলা ও নগদ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফ মুর্শেদ মিশু বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে। অতি গতি, হাইড্রোলিক হর্ন থ্রি হুইলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভিন্ন গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করেন অভিযানকারীরা। হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় নিয়মিত এ কার্যক্রম চলবে বলেও জানায় বিআরটিএ।
এনটি