আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আপনি যদি ফেসবুক মেসেঞ্জারের এক দশমিক তিন বিলিয়ন ব্যবহারকারীর একজন হন, তাহলে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনার সরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক খবরে বলা হচ্ছে- এই প্ল্যাটফর্মটি নতুন করে সুরক্ষার বিষয় যোগ করছে।
তবে সেখানে একেবারে বাজে বিষয় লুকায়িত আছে। কল্পনার চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে এই প্ল্যাটফর্ম। ফলে ফেসবুক এবং এর নিরাপত্তা বিষয়ক সিস্টেমগুলো সম্পর্কে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।
[caption id="" align="aligncenter" width="301"] এ বইটিসহ মাকতাবাতুত তাকওয়ার অন্যান্য বই সম্পকে জানতে ছবিতে ক্লিক করুন অথবা কল করুন 01780-752718 নাম্বারে।[/caption]
অ্যাপলের বিতর্কিত সিএসএএম আপডেটের বিষয়টি শিরোনামে উঠে এসেছে। তবে, ফেসবুক চুপিসারে মেসেঞ্জারে একটি বিশাল পরিবর্তন করে ফেলেছে; অ্যাপল যা করেছে তার তুলনায় এটি আপনার নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার ক্ষেত্রে আরো গুরুতর প্রভাব ফেলছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেসেঞ্জারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো- সবসময় ডিফল্ট এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের অভাব। কয়েক বছর বিলম্ব করে এবং হতাশা দেখে ফেসবুক এখন বলছে যে, তারা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিষয়টির কার্যকারিতা পরীক্ষা করছে। কিন্তু সেখানে দুটি বিশাল সমস্যা গোপন রয়েছে; যার উভয়টিই আপনাকে জানতে হবে, যদি আপনি অ্যাপটি ব্যবহার করা অব্যাহত রাখতে চান।
ফেসবুক তথ্য সংগ্রহের ব্যবসা করে- আমরা সবাই এটা জানি। ব্যবহারকারী সংগ্রহের ব্যবসাও আছে ফেসবুকের। শুধু সংখ্যার দিকে তাকান। ফেসবুকের চারটি অ্যাপ রয়েছে; যা তিন বিলিয়নের বেশি ইন্সটল করেছে। সেটা হলো- ফেসবুক নিজেই, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম। এর বাইরে কেবল টিকটক এই সংখ্যা ছুঁয়েছে।
কিন্তু এইসব প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারী কিন্তু এক রকম নয়। সেখানে হোয়াটসঅ্যাপ একেবারেই আলাদা। আপনাকে এই প্ল্যাটফর্মে টেনে নিয়ে আসার জন্য কোনো অ্যালগরিদমিক বিষয়বস্তু নেই। এখানে স্ক্রল করার সময়সীমা নেই, শুধু কারো সাথে কিংবা গ্রুপে চ্যাট করা যায়; যেখানে ব্যবহারকারীরা একে অপরকে গোপনীয়ভাবে বার্তা পাঠায়। ফেসবুক বিজ্ঞাপন দেখায় এবং ব্যবসায়িক পরিষেবাগুলোকে প্রমোট করে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ আলাদা।
বহু নামকরা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলছেন, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সবখানে হওয়া উচিত। ইন্টারনেট সিকিউরিটি কম্পানি ইএসইটি'র জ্যাক মোরে বলেছেন, মেসেঞ্জার সব ধরনের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের গুরুত্বকে ডিফল্ট করার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্মের প্রতি আস্থা বাড়াবে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্ধ হয়ে গেছে।
ফেসবুক বলেছে, মেসেঞ্জার এনক্রিপশন এই প্ল্যাটফর্মে শিশু নির্যাতনের বিষয়টি চিহ্নিত করার ক্ষমতা কমিয়ে ফেলবে না। এ বছরের শুরুর দিকে, ফেসবুকের গ্লোবাল পলিসি ম্যানেজমেন্টের প্রধানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- শিশু নির্যাতনের রিপোর্ট করা ঘটনাগুলো এনক্রিপশনসহ 'অদৃশ্য' বা মুছে ফেলা হবে কি না।
[caption id="" align="aligncenter" width="238"] এ বইটিসহ মাকতাবাতুত তাকওয়ার অন্যান্য বই সম্পকে জানতে ছবিতে ক্লিক করুন অথবা কল করুন 01780-752718 নাম্বারে।[/caption]
সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, আমি আশা করি এই সংখ্যা কমে যাবে। যদি কন্টেন্ট শেয়ার করা হয় এবং সেই কন্টেন্টে যদি আমাদের প্রবেশাধিকার না থাকে, তাহলে আমরা তা দেখতেও পারবো না এবং রিপোর্টও করতে পারবো না।
এরই অংশ হিসেবে, ফেসবুক এখন বলছে যে, তারা ব্যবহারকারীদের কিছু অধিকার দেবে; যা দ্বারা ব্যবহারকারী ঠিক করবে কে তার ইনবক্সে পৌঁছাতে পারে, তার রিক্যুয়েস্ট ফোল্ডারে কে যাবে এবং কে তাকে মোটেও বার্তা দিতে পারবে না- এসব নির্ধারণ করার সক্ষমতা দেবে। ফলে ব্যবহারকারীরা অবাঞ্ছিত মিথস্ক্রিয়া থামাতে পারবে। সূত্র: ফোর্বস।
-কেএল