বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

কোয়ারেন্টাইনে কুরআন মুখস্থ করলেন মিশরের ৬ বছরের শিশু রুদিনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা কালীন সময়ে কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে পিতামাতায় সহায়তায় মিশরের ৬ বছরের শিশু ‘রুদিনা মুহাম্মাদ’ সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেছেন।

রুদিনা মোহাম্মদ মিশরীয় আল-ফাইয়ুম প্রদেশের একটি গ্রামের বাসিন্দা। কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে ৬ বছরের এই শিশু তার পিতামাতার সহায়তায় পুরো কুরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে। মেয়েটির বাবা “আল-ফাইয়ুম এন্ডাউমেন্ট অফিসের” খতিব এবং পেশ ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন।

রুদিনার বাবা বলেন, যখন তার মেয়ের বয়স দুই বছর ছয় মাসেরও কম ছিল, তখন তিনি তাকে পবিত্র কুরআনের ছোট ছোট সূরাগুলো মুখস্থ করাতেন এবং যখন তার মেয়ের বয়স তিন বছরে পৌঁছায়, তখন তিনি তাকে নিয়মিত পবিত্র কুরআনের অন্যান্য সূরা মুখস্থ করাতে শুরু করেন।

রুদিনার বাবা আরও বলেন: পবিত্র কুরআন মুখস্থ করার জন্য তার মেয়ে করোনা কালীন সময়ে কোয়ারেন্টাইনের সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন। তিনি সূরা ইউনুস থেকে কুরআন মুখস্থ করা শুরু করেন এবং তারপর পুরো কুরআন মুখস্থ করেন। কুরআন হেফজ করার পাশাপাশি তিনি ইংরেজি ভাষাও শিখেছেন।

এ ব্যাপারে রুদিনা বলেন: আমি আমার মায়ের সাহায্য সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করতে সক্ষম হয়েছি। কারণ আমার মা আমাকে সমসময় উৎসাহিত করেছেন। প্রথম দিকে আমি পবিত্র কুরআনের ছোট সূরা মুখস্থ করতে শুরু করি। এভাবে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করি।

তিনি একজন দক্ষ ডাক্তার হওয়ার জন্য আল-আজহার মেডিকেল স্কুলে পড়াশোনা করতে চান। বড় হয়ে একজন দক্ষ ডাক্তার হয়ে নিজ গ্রামের শিশুদের চিকিৎসা করার আশা প্রকাশ করেছেন।

রুদিনা বলেন, তার শখ হচ্ছে শিশুদের ম্যাগাজিন এবং বই পড়া। রুদিনা তার গ্রামের শিশু এবং বড়দের অল্প পরিমাণেও হলে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

রুদিনার বাবা বলেন রুদিনা মুহাম্মাদ প্রথমে পবিত্র কুরআনের আয়াত শুনে শুনে মুখস্থ করেন। প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে তার কাছে পবিত্র কুরআনের অডিও ফাইল অন করে রাখতাম যাতে করে সে পবিত্র কুরআনের আয়াতের সাথে পরিচিত হয়। আর রুদিনা এভাবে তিলাওয়াত শুনতে শুনতে কুরআন মুখস্থ করেন।

রুদিনার পিতা-মাতা বলেন কুরআন হেফজ করানোর জন্য তারা তাদের সন্তানদের নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত শুনাতেন এবং নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত শোনা এবং সেগুলো পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে তারা কুরআন হেফজ করেন। এছাড়াও তারা তাদের সন্তানদের পবিত্র কুরআনের আয়াতের শুদ্ধ উচ্চারণও শেখান। তবে তারা তাদের সন্তানদেরকে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত করেননি। পবিত্র কুরআনের কিছু অংশ মুখস্থ করার পর তাদের সন্তানদের উপহার দিয়ে এবং বিনোদনের জন্য পার্কে নিয়ে যেয়ে মহান আল্লাহর এই ঐশী গ্রন্থ মুখস্থ করার প্রতি আরও উৎসাহিত করতো।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ