আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আফগানিস্তানে আবার ফিরে আসছে ‘পুণ্যপ্রচার এবং পাপপ্রতিরোধ মন্ত্রণালয়’।
গত তালেবান শাসনামলে এই মন্ত্রণালয়টি চালু করা হয়েছিল। মার্কিন বাহিনীর হাতে তালেবানের পতনের পর এই মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত হয়ে যায়।
এনডিটিভি বলছে, এই মন্ত্রণালয় পুনঃস্থাপনের সংবাদে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ আফগান নাগরিক। এর মাধ্যমে কঠোর ইসলামি আইনের প্রয়োগ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়েছে।
আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ইসলামের সেবা করা। তাই এই মন্ত্রণালয় থাকা বাধ্যতামূলক।
তিনি বলেন, আমরা ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি দেব। ইসলাম যা নির্দেশনা দিয়েছে, আমরা সেভাবে দেশ চালাব। বড় পাপের জন্য ইসলামের নিয়ম আছে। উদাহরণস্বরূপ, কাউকে হত্যা করার অপরাধের বিষয়ে আলাদা নিয়ম আছে। যদি আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেন, তাহলে আপনাকে হত্যা করা হবে। আর যদি ইচ্ছাকৃত না হয়, তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থদণ্ডের মতো শাস্তি হতে পারে। যদি চুরি হয়, তাহলে হাত কেটে ফেলা হবে।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান শাসনামলে আফগান নারীদের জন্য বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। পুরুষ অভিভাবক ছাড়া তাদের জন্য ঘর থেকে বেরোনো নিষিদ্ধ ছিল। নামাজের সময় মসজিদে যাওয়া এবং পুরুষদের দাড়ি রাখাটা বাধ্যমতামূলক করা হয়েছিল।
এসব দেখভালের জন্য প্রতিটি রাস্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। আইন লঙ্ঘনকারীদের বেত্রাঘাত ও প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তি দেওয়া হতো। ইসলামের অনুশাসন একটি দেশের চিত্র পাল্টে দিতে পারে বলে মনে করেন তারা।
-এটি