কাজী আবদুল্লাহ ও মাকসুদুর রহমান সাইমন রশীদি।।
দেশবরেণ্য আলেমেদ্বীন, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাটহাজারী মাদ্রাসার সদ্য নির্বাচিত একক ও পূর্ণাঙ্গ মহাপরিচালক মুফতিয়ে আযম বাংলাদেশ আল্লামা আব্দুস সালাম চাটগামীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের জামিয়াতুল উলূম ইসলামিয়া বানূরী টাউন করাচী মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
আজ এক শোক বার্তায় তারা বলেন, জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া বানূরী টাউন করাচির হাদিসের প্রাক্তন অধ্যাপক ও দারুল ইফতার প্রধান হযরত মাওলানা মুফতি আব্দুল সালাম চাটগামী রহ. ইন্তেকাল করেছেন। তিনি হযরত মাওলানা সায়্যিদ মুহাম্মদ ইউসুফ বানূরী রহ. এর বিশেষ ছাত্র এবং উপমহাদেশের শীর্ষ স্থানীয় একজন মুফতি ও বিজ্ঞ আলেমেদ্বীন ছিলেন।
২০০০ সালে মাতৃভূমির ভালোবাসা এবং দারুল উলুম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর আহ্বানে মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এরপর দীর্ঘদিন যাবৎ হাটহাজারী মাদ্রাসায় অত্যন্ত সুনামের সাথে ইসলামী আইন শাস্ত্র ও ইলমে দ্বীনের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ থাকা অবস্থায় আজ বেলা ১১-৪০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন। পৃথিবী থেকে তাঁর চিরবিদায়ে আলেম সমাজ এবং ফতোয়া সমাজে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হলো।
বানূরী টাউন করাচি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মাওলানা আব্দুস ছালাম চাটগামী’র রূহের মাগফিরাত কামনা করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছে গভীর সমবেদনা।”
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাকিস্তানের বিখ্যাত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া আল্লামা বানূরী টাউন করাচিতে ভর্তি হন। সেখানে উচ্চতর হাদিস ও ফিকহ নিয়ে পড়াশোনা করেন।
শিক্ষা সমাপ্ত হওয়ার পর ওই মাদ্রাসাতেই কার্যকরি মুফতি হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশের মুফতি আব্দুস সালাম। পাকিস্তানের বিখ্যাত মুফতি ওলি হাসান টুংকির অসুস্থার কারণে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান মুফতির দায়িত্ব পালন করেন।
মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে নিজ অবস্থান ধরে রেখে মুফতি ওলি হাসান টুংকির ইন্তেকালের পর বিশ্ববিখ্যাত এ জামেয়ার প্রধান মুফতির দায়িত্ব লাভ করেন বাংলাদেশী এ আলেম।
আল্লামা আব্দুস সালাম চাটগামী পাকিস্তানের বানূরী টাউন করাচিতে দীর্ঘ ৩০ বছর অবস্থানকালে প্রায় ৩ লাখ লিখিত ফতোয়া দিয়েছেন। যা জামেয়া বানূরী টাউন করাচির ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক।
-এটি