আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আফগানিস্তানে রাজধানী কাবুল ১৫ আগস্ট তালেবানদের দখলে চলে যাওয়ার পর পুরো দেশটি বলতে গেলে তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে সোমবার(৩০ আগস্ট) সর্বশেষ মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানাচ্ছে, দ্রুত নতুন একটি সরকার গঠন করতে চায় তালেবান।
এ নিয়ে দফায় দফায় আলোচনায় বসছেন দলটির ঊর্ধ্বতন নেতারা। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগেই শনিবার( ২৮ আগস্ট) থেকে কান্দাহারে শুরু হয় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বৈঠক।
সোমবার(৩০ আগস্ট) পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে সরকার গঠন ছাড়াও দেশের ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। আল জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এ বৈঠকের কথা নিশ্চিত করেছেন।
জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, তালেবান প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা-র সভাপতিত্বে কান্দাহার প্রদেশে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন দিনের আলোচনায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আল জাজিরা জানাচ্ছে, ইরানের ধাঁচে সরকার গঠন করতে চায় তালেবান। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নেতা হতে পারেন দলের প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা।
এর আগে তালেবানের এক ঊর্ধ্বতন নেতার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, নতুন একটি মন্ত্রিসভা ঘোষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যাতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে ‘রাহবারি শুরা’ বা নেতৃত্বদানকারী কাউন্সিলের সকল সদস্য।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ ভয়েস অব আমেরিকাকে জানান, এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন প্রায়। তালেবান নেতা জানান, তালেবান নেতৃত্ব প্রধান সহকারী সিরাজুদ্দীন হাক্কানি এবং অপর সহকারী প্রধান মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুবকে মন্ত্রিসভার নাম চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দিয়েছে।
তিনি জানান, এই মন্ত্রিসভায় ২৬ জন সদস্য থাকতে পারেন এবং যাতে কাউন্সিলের বাইরের লোকজনও সামিল হতে পারেন। সর্বোচ্চ নেতা আখুন্দজাদা নিজে মন্ত্রিসভার সদস্যদের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন।
-এটি