বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

আফগানিস্তানে ঐক্যমতের সরকার গঠন করবে তালেবান!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তালেবান আফগানিস্তান দখলের পর থেকেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কেমন হবে নতুন সরকার। এদিকে তালেবান বলেছে তারা সব গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করে সরকার গঠন করবে।

আজ মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আফগানিস্তানে আগামী দিনে একটি ঐক্যমতের সরকার গঠন করা হবে।

তালেবান বলেছে, তারা নতুন সরকারের বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য ‘সমস্ত গোষ্ঠীর’ সাথে আলোচনা করছে। তালেবানরা কীভাবে দেশ পরিচালনা করবে এবং তাদের শাসন ব্যবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করছে।

এদিকে মার্কিন বাহিনী কাবুলের বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার পর সেখানে গেছেন তালেবান নেতারা। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, তালেবানের নেতাদের বেশ কয়েকজন সেখানে গেছেন এবং হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের রানওয়েতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।

মানবন্দরে জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তানকে অভিবাদন। এই বিজয় আমাদের সবার। তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। আমরা সবার সঙ্গে ভালো কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখতে চাই।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা সম্ভব হলেও অনেক মার্কিন নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিবিসিকে মার্কিন এক সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, তালেবান সদস্যরা মার্কিনদের বাধা দিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি

এদিকে কাবুল বিমানবন্দর ছাড়ার আগে সেখানে থাকা এয়ারক্রাফট, সাঁজোয়া যান ও উচ্চ প্রযুক্তির রকেট ডিফেন্স সিস্টেম অকার্যকর করে রেখে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।

আজ সোমবার আফগানিস্তানের রাজধানীর স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ সেনাদলকে নিয়ে কাবুল ছেড়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক পরিবহন বিমান।

এরপর মিশন কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ম্যাকেনজি পেন্টাগনের এক ব্রিফিংয়ে জানান, মার্কিন সেনারা কাবুল বিমানবন্দরে রয়ে যাওয়া ৭৩ এয়ারক্রাফট, ৭০টি সাঁজোয়া যান এবং ২৭টি হামভি গাড়ি ‘অকার্যকর’ করে রেখে গেছে। তালেবানরা যেন এগুলো ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই এমনটি করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

‘ওইসব এয়ারক্রাফট আর কখনোই উড়ানো যাবে না। কেউ কখনোই সেগুলো চালাতে পারবে না,’ বলেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের প্রতিবেদকের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে মার্কিন সেনারা চলে যাওয়ার পর তালেবান যোদ্ধাদের কাবুল বিমানবন্দরের একটি হ্যাঙ্গারে প্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারক্রাফটগুলো পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।

মার্কিন সেনারা বিমানবন্দটিতে মোতায়েন করা উচ্চ প্রযুক্তির রকেট ডিফেন্স (সি-আরএএম) সিস্টেমও অকার্যকর করে রেখে গেছে। এই সি-আরএএম সিস্টেম সোমবার কাবুল বিমানবন্দরে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) রকেট হামলা প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।

এর আগে তালেবান যোদ্ধাদের যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিভিন্ন সামরিক যান ও অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। ওইসব সামরিক যান ও অস্ত্র আফগান সামরিক বাহিনীকে সরবরাহ করেছিল ওয়াশিংটন, কিন্তু ওই বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করার পর তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলো তালেবান যোদ্ধাদের হাতে চলে যায়। সূত্র: বিবিসি ও আল জাজিরা

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ