আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গত ২৮ আগষ্ট ২০২১ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত “অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়” শীর্ষক সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান এবং শীর্ষ উলামায়ে কেরাম।
আজ সোমবার (৩০ আগষ্ট) সোমবার আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কার্যালয়ে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় সরকারের প্রতি মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত ও অবারিত রাখার আহ্বান জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশ অফিস সম্পাদক, মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আল-হাইআতুল উলয়ার নেতৃবৃন্দ বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপিত প্রস্তাবটি নতুন মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পথ চরমভাবে সংকুচিত করবে। এতে পবিত্র ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রস্তাবটি মুসলিমসহ সকল ধর্মানুসারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, যা রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটাতে পারে।
আল-হাইআতুল উলয়ার নেতৃবৃন্দ মনে করেন, প্রস্তাবটি কুরআন, হাদীস, দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতি এবং ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আইন, ২০১৮’ (২০১৮ সনের ৪৮ নং আইন) এর পরিপন্থী।
আল-হাইআতুল উলয়ার নেতৃবৃন্দ বলেন, কওমি মাদরাসাগুলো বন্ধ থাকার কারণে বহু এতিম-গরীব ছাত্র অনাহারে কষ্ট পাচ্ছে। বহু ছাত্র ঝড়ে যাচ্ছে। হেফজখানা ও মক্তবের ছাত্রদের কুরআন তেলাওয়াত, শেষরাতের রোনাজারি, যিকির ও দু‘আ সব বন্ধ। সভায় সরকারের নিকট কওমি মাদরাসা অতিদ্রুত খুলে দিয়ে ছাত্রদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় গ্রেফতারকৃত আলেম-উলামা ও মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগণকে অবিলম্বে মুক্তিদানেরও জোর দাবি জানানো হয়। সাথে সাথে কওমি মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকদেরকে কোভিড-১৯ এর টিকার আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব, মধুপুর) মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা জিয়াউদ্দীনের প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা সুলতান যওকের প্রতিনিধি মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারীর প্রতিনিধি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজাহ, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিনিধি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা মুশতাক আহমদ, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মুফতি জসিমুদ্দীন, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা বেলায়েত হোসাইন আল ফিরোজী, আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস সম্পাদক মাওলানা মুঃ অছিউর রহমান।
-ওআই/আবদুল্লাহ তামিম