মোস্তফা ওয়াদুদ: হেফাজত মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেছেন, শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর পরে সারাদেশে সবচেয়ে গ্রহণযােগ্য নেতৃত্বে ছিলেন আল্লামা বাবুনগরী। জীবদ্দশায় তিনি কখনাে আপােষ করেননি। শাইখুল ইসলামের মৃত্যুর পর সারাদেশের আলেম-উলামা ও হেফাজত নেতৃবৃন্দের সমর্থনে আল্লামা বাবুনগরীকে আমীরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি সেখানেও সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু মহান আল্লাহর হুকুমে তাকে পরপারের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যেতে হয়েছে। শাইখুল ইসলামের ইন্তেকালের এক বছরের মধ্যেই আল্লামা বাবুনগরীর ইন্তেকাল আমাদের অসহায় করে তুলেছে। এমন প্রধান দুইজন নেতৃত্বের চলে হেফাজতসহ সারাদেশের ইসলামী অঙ্গনের জন্য বড় ধরণের ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছে।
আজ রোববার (২৯ আগস্ট) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় ও খাস কমিটির বৈঠকে পঠিত বক্তব্যে হেফাজত মহাসচিব আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদী এসব কথা বলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা শাহ মুহিব্দুল্লাহ বাবুনগরী। অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় ও খাস কমিটির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকের শুরুতে সদ্য প্রয়াত আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী রহ.-এর মাগফিরাত ও দারাজাত বুলন্দি কামনা করা হয়।
হেফাজত মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম আরও বলেন, আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর ইন্তেকালে দেশবাসী একজন ঈমানদার, সৎ ও সাহসী রাহবারকে হারিয়েছে। তিনি শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর হাত ধরে হেফাজতের মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। যথাযথভাবে তিনি সে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা আমাদের মরহুম দুই আমীরের জন্য বিশ্বের সকল মুসলমাদের কাছে দুয়া চাই। মহান আল্লাহ যেন তাদের জান্নাতের উচু মাকাম দান করেন।
তিনি আরও বলেন, আকস্মিক আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরীর ইন্তেকালে সকলের পরামর্শে আমাদের আরেক প্রধান মুরব্বী, হেফাজতের সাবেক সিনিয়র নায়েবে আমীর ও প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীকে আমীরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।হজরত অসুস্থ শরীর নিয়েই সবার অনুরােধে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আমাদের বিশ্বাস সাবেক আমীরদের মতাে তিনিও দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে যাবেন। হেফাজতের সকল কার্যক্রম নিয়ম অনুযায়ী চলমান থাকবে।
বৈঠকে ৮টি বিষয় নিয়ে আলােচনা হয়। সেগুলো হলো:
এক : সাবেক আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী রহ.-এর মৃত্যুতে গভীর শােক ও সমবেদনা
দুই : আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীকে নতুন আমীর হিসেবে নির্ধারণের বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমােদন।
তিন : আল্লামা বাবুনগরী রহ. স্মরণে স্মরণ সভা ও দুয়া মাহফিল করার বিষয়ে স্থান ও তারিখ নির্ধারণের বিষয় আলােচনা।
চার : কাদিয়ানীদের অপতৎপরতা বন্ধে সম্মেলিত প্রতিরােধ গড়ে তােলার বিষয়ে আলােচনা।
পাচ : কওমী মাদরাসা খােলার বিষয়ে আলােচনা।
ছয় : বন্দী উলামায়ে কেরামের মুক্তির বিষয় আলােচনা।
সাত : ঢাকায় মুহতামিম সম্মেলনের আলােচনা।
আট : হেফাজতের গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ ও প্রকাশ।
এমডব্লিউ/