আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচির মেহরান শহরে একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীদের বরাতে ডন অনলাইন এমন খবর দিয়েছে।
জিন্নাহ পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারের (জেপিএমসি) অতিরিক্ত পুলিশ সার্জন ডা. সুমাইয়া সাইয়েদ বলেন, হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ১৬টি মরদেহ আনা হয়েছে। আরও মরদেহ আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তা শাহ জাহান বলেন, সেখানে ২৫ জন আটকা পড়েছেন বলে আমাদের জানানো হয়েছে। তাদের সবাই মারা গেছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তান রেঞ্জার্সের (সিন্ধ) মুখপাত্র বলেন, এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে আমরাও যোগ দিয়েছি। তিনি বলেন, একটি রাসায়নিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, বহুতল বিশিষ্ট রাসায়নিক কারখানার অধিকাংশ জানালা বন্ধ ছিল। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, অগ্নিনির্বাপনকর্মীরা আগুন নেভাচ্ছেন আর অ্যাম্বুলেন্সে করে আক্রান্তদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ভবনটির নিচ তলায় আগুন লাগলে দ্বিতীয় তলার লোকজন আটক পড়ে যান। এতে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায়।
পাকিস্তানের প্রধান অগ্নিনির্বাপন কর্মকর্তা মুবিন আহমেদ বলেন, কারখানা থেকে বাইরে বের হওয়ার একটি মাত্র পথ ছিল। ছাদে যাওয়ার পথও বন্ধ ছিল। এতে উদ্ধার কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। আটকেপড়া লোকজনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরাপদে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখন পর্যন্ত জান সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সাইয়েদ মুরাদ আলী শাহ। প্রদেশটির রাজধানী করাচিতে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় কারখানা স্থাপনের ঘটনা ঘটেছে। যাতে ইমরাত নির্মাণ বিধিমালাও অনুসরণ করা হয়নি।
-এএ