আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ক্ষমতার পটপরিবর্তনে আফগানিস্তান এখন এক চরম মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছে বলে রোববার সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। বিপর্যয় রোধে জরুরি সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।
বিশ্ব সংস্থা বলেছে, দেশটিতে ব্যাপক খাদ্যঘাটতি হয়েছে, বেড়েছে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা। জরুরিভিত্তিতে মানবিক সহায়তার প্রচেষ্টা শুরু করার ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত না হলে সে দেশের অর্থনীতিও ভেঙে পড়তে পারে। মানুষের কাছে কিছুই নেই। এখনই খাবার দরকার। রাস্তাঘাট তুষারে ঢাকা পড়ার আগেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে তা পৌঁছাতে হবে।
এমনই প্রেক্ষাপটে কাবুলে অবস্থানরত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, আফগানিস্তানে দেখা দেওয়া সাম্প্রতিকতম এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে খরা, গণহারে লোকজনের বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ও অর্থনৈতিক অচলাবস্থা। সব মিলিয়ে সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয় প্রতিরোধে দেশটিতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতা প্রয়োজন।
আফগানিস্তান ছাড়তে ইচ্ছুক সে দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া নিয়ে যুক্তরাজ্যের বিশৃঙ্খল প্রচেষ্টায় ক্ষোভ বাড়ছে। এরই মধ্যে গত শনিবার কাবুল বিমানবন্দরে হুড়োহুড়িতে মারা গেছেন সাতজন। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি করে চলতি সপ্তাহে বৈঠক ডেকেছেন জি-৭ নেতারা।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মেরি–এলেন ম্যাকগ্রোয়ার্থি পর্যবেক্ষকদের বলেন, দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। অন্যথায় এরই মধ্যে দেখা দেওয়া ভয়ানক পরিস্থিতি রূপ নেবে চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে। আর তা হবে চূড়ান্ত রকমের এক মানবিক বিপর্যয়।
ম্যাকগ্রোয়ার্থি বলেন, ‘আফগানিস্তানে আমাদের শুধু খাদ্য নয়, চিকিৎসাসামগ্রী ও আশ্রয়–সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামাদির সরবরাহ দরকার। আরও দরকার অর্থ, যার প্রয়োজন এখনই।’
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, এসব সামগ্রী সরবরাহে ৬–৭ সপ্তাহ লেগে গেলে (দেরি হলে) তাতে অনেক বিলম্ব ঘটে যাবে। মানুষের কাছে কিছুই নেই। এখনই খাবার দরকার। রাস্তাঘাট তুষারে ঢাকা পড়ার আগেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে তা পৌঁছাতে হবে।
শনিবার কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে তালেবান যোদ্ধারা এর চারপাশে কিছু কড়াকড়ি আরোপ করেন। রোববার বিমানবন্দরের প্রবেশমুখে লোকজনকে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড় করানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালান তাঁরা। এদিন ভোরে বিমানবন্দর এলাকায় কোনো সহিংসতা ঘটেনি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
-এটি