মোস্তফা ওয়াদুদ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে বলেছেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর চেষ্টা থাকবে একজন শিক্ষার্থীকে কিভাবে শিক্ষিত হতে পারে। ভালো রেজাল্ট করতে পারে। ভালো জ্ঞান অর্জন করতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সবচেয়ে বেশি আগ্রহ থাকা উচিত ছিল। কিন্তু বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর চাহিদা হলো, ছাত্র-ছাত্রীরা কতটা মুর্খ থাকতে পারে! পড়ালেখা না করে কিভাবে পরীক্ষায় পাস করতে পারে! প্রতিষ্ঠানে কত অনুপস্থিত থাকতে পারে! এটাই হলো শিক্ষামন্ত্রীর চাহিদা। তাই আমি শিক্ষামন্ত্রীকে বলব, আপনি এই পদের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। আপনি পদত্যাগ করুন।’
আজ শনিবার (১৪ আগস্ট) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত নগরীর চাঁদমারি এম.সি অডিটোরিয়ামে ‘মহানগর দায়িত্বশীল তরবিয়াত সম্মেলনে’ এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ভালো একজন সাহসী যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষামন্ত্রী নিয়োগ দিন। যার মাঝে শিক্ষার চিন্তা আছে। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষিত করার চিন্তা আছে। যারা ভবিষ্যতে দেশকে ধ্বংস করার চিন্তা করে না। বরং ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার চিন্তা করে। এরকম একজনকে শিক্ষামন্ত্রী করে জলদি জলদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যবস্থা করে দেন।’
মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘সরকার সবকিছু খুলে দিয়েছে। রাস্তা-ঘাটে শতভাগ লোক চলাফেরা করছে। ট্রেন শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলছে। শতভাগ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলছে। শতভাগ যাত্রী নিয়ে বাস চলছে। কিন্তু অর্ধেক ছাত্র নিয়েও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারেনি। এর কারণটা কোথায়?
তিনি আরও বলেন, কোন জায়গায় ভাইরাস নেই। কোন জায়গায় করোনা নেই। বাজারে করোনা নেই। গার্মেন্টসে করোনা নেই। লঞ্চের মাঝে করোনা নেই। ট্রেনের মাঝে করোনা নেই। গাঁজার আসরে করোনা নেই। এমনকি পর্যটন কেন্দ্রও খুলে দিয়েছে সরকার। সেখানে করোনা নেই? করোনা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসে জমা হয়েছে? আসলে সেখানে করোনাভাইরাস নেই। বরং সেখানে সরকারের নিজের ভাইরাস আছে। সেটা হলো এই জাতিকে মূর্খ বানাবার ভাইরাস। এই জাতিকে ধ্বংস করার ভাইরাস।
এ সময় ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানসহ বরিশাল মহানগেরর দায়িত্বশীলগণ উপস্থিত ছিলেন।
এমডব্লিউ/