আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভুয়া ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে আরও দুইটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২ আগস্ট) ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান পার্লামেন্টে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাধারণ মানুষ এবং ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ইউজিসি ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করেছে।’
ধর্মেন্দ্র প্রধান আরও বলেন, ‘পাশাপাশি ভারতীয় শিক্ষা পরিষদ, লখনৌ, উত্তর প্রদেশ এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব প্লানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (আইআইপিএম), কুতুব এনক্লেভ, দিল্লি নামের দুইটি প্রতিষ্ঠান ১৯৫৬ সালের ইউজিসি আইন লঙ্ঘন করে পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এই দুইটি প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের বিষয়টি আদালতের বিবেচনাধীন রয়েছে’
সবচেয়ে বেশি আটটি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে উত্তর প্রদেশে। এগুলো হলো- বারানসী সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, বারানসী; মহিলা গ্রাম বিদ্যাপিঠ, এলাহাবাদ; গান্ধী হিন্দি বিদ্যাপিঠ, এলাহাবাদ; ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ইলেক্ট্রো কমপ্লেক্স হোমিওপ্যাথি, কানপুর; নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোশ ওপেন ইউনিভার্সিটি, আলিগড়; উত্তর প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, মথুরা; মহারানা প্রতাপ শিক্ষা নিকেতন বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতাপগড় এবং ইন্দ্রপ্রষ্ঠা শিক্ষা পরিষদ, নয়ডা।
এছাড়া দিল্লিতে রয়েছে সাতটি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়। উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটিতে দুইটি করে ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কর্নাটক, কেরালা, মহারাষ্ট্র, পদুচেরিতেও একটি করে ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা নিয়ে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষার জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়েছে ইউজিসি। এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
-এএ