আন্দামান নওশাদ: প্রথম বারের মতো একটি শীর্ষ গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন মুসলিমকে মনোনয়ন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ভারতীয়-মুসলিম রাশিদ হুসাইনকে মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাশিদ হুসাইন একজন কুরআনের হাফেজ।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার (ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম) প্রথম মুসলিম দূত হিসেবে রাশিদ হুসাইনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ ঘোষণার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমেরিকা ও সব ধর্মের প্রতিনিধি নিয়ে একটি প্রশাসন গঠনের মনোভাব প্রকাশ করে।’
ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক রাশিদ হুসাইন (৪১) জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পার্টনারশিপ ও গ্লোবাল এনগেজমেন্টের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ওবামা প্রশাসনের সময় তিনি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-তে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও স্ট্র্যাটেজিক কাউন্টার টেরোরিজম কমিউনিকেশনসে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত এবং হোয়াইট হাউসের উপ-সহযোগী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
রাশিদ হুসাইন আমেরিকার ওয়াইমিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আকবর হুসাইন ও মা রুকাইয়া ছিলেন ভারতীয় মুসলিম প্রবাসী। হুসাইন যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাপেল হিলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা থেকে দর্শন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। নিউ হ্যাভেন সিটির ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। সেখানে তিনিে ইয়েল ল জার্নালের সম্পাদক ছিলেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক ও প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এ সময় তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি বিষয়েও ডিগ্রি নেন।
রাশিদ হুসাইন জর্জটাউন ল সেন্টার এবং জর্জটাউন স্কুল অফ ফরেন সার্ভিসে আইন বিষয়ক অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি উর্দু, আরবি ও স্পেনিশ ভাষায় দক্ষতার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিকে অসামান্য সেবা দেওয়ায় রাশিদ হুসাইনকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ‘রাশিদ হুসাইন একজন দক্ষ আইনজীবী ও হোয়াইট হাউসের বিশ্বস্ত কর্মী। কায়রোতে আমি যে অংশীদারিত্বের আহ্বান করেছিলাম তিনি এর উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। তাছাড়া পবিত্র কোরআনের একজন হাফেজ হিসেবে তিনি আমেরিকান মুসলিম সম্প্রদায়ের একজন সম্মানিত সদস্য। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করায় আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই।’ সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এমডব্লিউ/