আবদুল্লাহ তামিম।। ভারতীয় রাজনীতিবিদ তুখোর মুসলিম রাজনীতিবীদ সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন দলের প্রেসিডেন্ট, হায়দ্রাবাদ থেকে চারবার আইনসভার নিম্নকক্ষ লোকসভার সদস্য নির্বাচিত ড. আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, আমরা মুসলমান, আমরা তিন তালাক আইন মানি না।
আজ রোববার ভারতের আল হেলাল মিডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আইনটিকে পুরোপুরি কার্যকর ঘোষণা করে মোদী সরকার বলেছে যে, তিন তালাক মামলার সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে এসেছে। মুসলিম নারীরা এতে উপকৃত হয়েছেন। মোদীর বক্তব্যের উত্তরে সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদ-এ-মুসলিমিন (AIMIM) -এর নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, মুসলমানরা এ আইন মেনে নেয় না। এটি শুধু নারীর সমস্যা বাড়াবে। কোনো মুসলমান এ আইন মানতে পারে না।
এ মুসলিম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি আরো বলেন, নারীদের জন্য এ আইনটি একটি অসাংবিধানিক আইন। এ আইনটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এটা সমতার বিরুদ্ধে মোদী সরকারের একটি ঘোষণা।
মোদী সরকার কি শুধু মুসলিম নারী (অধিকার) দিবস পালন করবে? হিন্দু, দলিত এবং অন্যান্য নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে কি তাহলে? শুধু মামলা নথিভুক্ত করা হবে, ন্যায়বিচার করা হবে না। পৃথিবীর মুসলমানরা তা মেনে নেয়নি। কখনো মেনে নিবে না। সূত্র: আল হেলাল মিডিয়া
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর তিন তালাক প্রথাকে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা একটি অর্ডিন্যান্স বা নির্বাহী আদেশ জারি করে।
তিনবার তালাক উচ্চারণ করে স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদ দিলে এই আইন অনুযায়ী মুসলিম পুরুষদের তিন বছরের জেল ও আর্থিক জরিমানার বিধান থাকছে। তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর খোরপোষ পাওয়ারও অধিকার থাকবে।
গত বছরের অগাস্টে এক ঐতিহাসিক রায়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাককে বেআইনি ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে আইন প্রণয়নের ভার তারা ছেড়ে দিয়েছিল সরকারেরই ওপর।
এরপর এই প্রথাকে শাস্তিযোগ্য করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দ্য মুসলিম উইমেন প্রোটেকশন অব রাইটস ইন ম্যারেজ অ্যাক্ট নামে একটি বিলও আনে, যা সাধারণভাবে তিন তালাক বিল নামেই পরিচিতি পায়।
ডিসেম্বরে ওই বিলটি ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পাস হয়ে গেলেও রাজ্যসভায় সেটি বিরোধীদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে। তবে এখন সেটি আইনে পরিণত হলো। সূত্র: বিবিসি
-এটি