আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণ ও আরেকজনের শ্লীলতাহানির অভিযোগে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রামেশ্বর কয়াল নামের ওই বিএসএফ সদস্য এবং দুই বাংলাদেশি নারীকে ভারতের বনগাঁ জেলার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তার বিএসএফ সদস্যের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন দেশটির আদালত।
আর অবৈধভাবে ভারতের প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীন বাংলাদেশি দুই নারীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার সময় আটক করে ওই নারীকে ধর্ষণ করে রামেশ্বর কয়াল।
বুধবার (২৮ জুলাই) রাতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার ঝাউডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় ১৫৮ নম্বর বিএসএফ ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগকারী বাংলাদেশি নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন বনগাঁ মহকুমা আদালতের বিচারক। বনগাঁ জেলার সরকারি হাসপাতালে তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যকে শুধু গ্রেপ্তারই নয়, আপাতত তাকে চাকরি থেকেও সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করেছে বিএসএফ।
এদিকে সাংবাদিকদের বাংলাদেশি নারী জানান, উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঝাউডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় বান্ধবীকে নিয়ে ওই বাংলাদেশি নারী দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে বিএসএফের হাতে আটক হন। এর পর তাদের বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন বিএসএফের সাব ইন্সপেক্টর রামেশ্বর কয়াল।
তার নির্দেশে বিএসএফ সদস্যরা দালাল ধরতে অভিযানে বের হন। এই সুযোগে ক্যাম্পে অবস্থানকারী রামেশ্বর কয়াল এক নারীকে ধর্ষণ ও অন্যজনের শ্লীলতাহানি করে। এরপর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাড়া পেয়ে বৃহস্পতিবার গাইঘাটা থানায় ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন তারা।
ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীর বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে। বনগাঁ মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী সমীর দাস জানান, বিএসএফ সদস্যকে পুলিশ রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। গাইঘাটা থানার পুলিশ নিয়মিত মামলা করেছে। রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন আইনের শাসন নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠে- তাই বিষয়টি বিচারকও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বলে দাবি করেন ওই আইনজীবী।
এনটি