মোস্তফা ওয়াদুদ: মানুষ মরে যায়, রেখে যায় স্মৃতি। জীবনে যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যান, তারাই মরেও অমর থেকে যান। আর নেটিজেনরাও তাদের নিয়েই গর্ব করেন। তুলে ধরেন তাদের কারনামা। সাদা কাগজের পাতায় কালো কালো হরফে বর্ণনা করেন তাদের মহাকীর্তি। আজীবন মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকেন তারা।
গত এক মাস সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য ছিলো এক বেদনার মাস। একে একে চারজন তারকা শিল্পী হারিয়েছে সাংস্কৃতিক অঙ্গন। যাদের বিদায়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনজুড়ে নেমে এসেছে বিষাদের কালো ছায়া। সবশেষ ঈদুল আজহার ঠিক আগের দিন আরাফা দিবসে এ তালিকায় যোগ হলেন কলরবের নাশিদ শিল্পী মাহফুজুল আলম।
আজ ২০ জুলাই (মঙ্গলবার) সকাল ৮ টায় কলরবের জনপ্রিয় এ তরুণ নাশিদ শিল্পী মাহফুজুল আলম ইন্তেকাল করেছেন।নরসিংদীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি রবের ডাকে সাড়া দিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। আজ বাদ আসর তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ২৮ জুন রাজধানীর মগবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইন্তেকাল করেন তরুণ আলেম, উপস্থাপক ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কর্মী মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান।
তরুণ আলেম মুস্তাফিজুর রহমান দাবানল শিল্পীগোষ্ঠীর প্রধান উপস্থাপক ছিলেন। তিনি রেডিও ধনিতে ‘আহকামুল জুমা’ ও রেডিও একাত্তরে জীবন ঘনিষ্ঠ প্রশ্ন উত্তর মূলক অনুষ্ঠান ‘ইসলাম ও আমরা’ এর সঞ্চালনা করতেন।
গত ৭ জুলাই দিগন্ত শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পী হাসান মাহমুদ উসমানী বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শহীদ হোন। এ শিল্পী গেয়েছেন একাধিক জনপ্রিয় গান। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছিলেন দেশের সাংস্কৃতিক পাড়ার জনপ্রিয় শিল্পীরা।
এর আগে গত ১৫ জুলাই শাহে মাদীনা শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পী আশরাফুল ইসলাম সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন।
সাংস্কৃতিক এ তারকাদের ইন্তেকালে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সর্বত্র। দিনশেষে সবাই চলে যায়। পৃথিবীর কেউ কারো নয়। বারবার একথার প্রমাণ রেখে যায়।
এমডব্লিউ/