বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দারুন্নাজাতের প্রাক্তন ছাত্র শিহাবউদ্দীনের আল আজহার থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন কাজের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার অভিনেতা আবুল হায়াতের অভিনয়ে রিলিজ হল ইসলামি সংগীত ‘মিছে দুনিয়া’ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাবে পিলখানার শহীদ পরিবার সংখ্যালঘুরা এদেশে মায়ের কোলে সন্তানের মতো নিরাপদ: চরমোনাই পীর শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে নুরানী বোর্ডের ১৮তম সমাপনী পরীক্ষা ভারতকে ফ্যাসিবাদী-আধিপত্যবাদী নীতি বদলানোর আহ্বান হেফাজতে ইসলামের ইসকন নিষিদ্ধের দাবি তিন ইসলামি দলের ‘ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে’ আবারো হাসনাতকে গাড়িচাপায় ‘হত্যার চেষ্টা’

জন্মভূমির স্বাধীনতা দেখে যেতে পারলেন না ফিলিস্তিনি নেতা ‘আহমাদ জিবরিল’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ
নিউজরুম এডিটর

অনেক স্বপ্ন ছিলো। নিজ জন্মভূমি স্বাধীন করবেন। বিজয় বেশে দাঁড়াবেন মায়ের সামনে। ঘরে ফিরবেন মহান বিজয় নিয়ে। পৃথিবীর সব দেশের মতো স্বধীন দেশে বাস করবেন তিনি। কিন্তু সে সুযোগ আর পাননি। স্বাধীন দেশের মাটি মাড়াবেন বলে যে স্বপ্ন তিনি লালন করতেন, তা আর পূরণ হলো না। সে স্বপ্নের ডালপালা গজালেও বাস্তবায়ন করতে পারেননি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার সংগ্রামী নেতা।

স্বপ্নজয়ী এ ফিলিস্তিনি নেতার নাম আহমাদ জিবরিল। ৮৩ বছর বয়সে গতকাল বুধবার (৭ জুলাই) রাতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। সেই সাথে মৃত্যুঘটে একটি স্বাধীনতাকামীর সংগ্রামীর। মৃত্যুঘটে একটি সুন্দর স্বাধীন স্বপ্নের।

তবে হ্যা! স্বপ্নের সূচনাকালে তিনি একা থাকলেও মৃত্যুকালে তিনি একা ছিলেন না। লক্ষ কোটি তরুণকে ফিলিস্তিন স্বাধীনের স্বপ্ন দেখিয়ে গিয়েছেন। যে স্বপ্ন তিনি একা দেখা শুরু করেছিলেন, সে স্বপ্ন এখন ফিলিস্তিনের কোটি কোটি জনতা দেখতে শুরু করেছে। এ সফলতা কম কীসে?

ফিলিস্তিনকে দখলদারদের হাত থেকে স্বাধীন করতে তৈরি করেছিলেন স্বাধীনতা সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন’। এর প্রতিষ্ঠাতা নেতা ছিলেন আহমাদ জিবরিল। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানসহ বিশ্বের অসংখ্য স্বাধীন দেশ।

আহমাদ জিবরিল ১৯৩৮ সালে ফিলিস্তিনের ইয়াফা শহরের নিকটবর্তী ইয়াজুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন ফিলিস্তিনি এবং মা সিরিয়ার নাগরিক। জন্মের মাত্র ১০ বছর পর ১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিন দখল করে নিলে অন্যদের সঙ্গে জিবরিলের পরিবারকেও ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত করা হয়। জিবরিলের বাবা তার পরিবার নিয়ে সিরিয়ায় চলে যান।

১৯৬০-এর দশকে ইসরায়েলবিরোধী সংগ্রাম শুরু করেন আহমাদ জিবরিল। তিনি ১৯৫৬ সালে মিসরের সামরিক একাডেমিতে ভর্তি হন এবং ১৯৫৯ সালে সেখান থেকে সাফল্যের সঙ্গে কমিশন লাভ করে অফিসার পদে সিরিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।

সিরিয়ার সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ইহুদিবাদীদের কবল থেকে জন্মভূমি মুক্ত করার লক্ষ্যে গোপনে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কাজ শুরু করেন তিনি। গড়ে তোলেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন।

১৯৬৩ সালে সিরিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আমিন আল-হাফেজের সঙ্গে মতপার্থক্যের জের ধরে তিনি সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দিয়ে সার্বক্ষণিক প্রতিরোধ সংগ্রামে যোগ দেন। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলে দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ