আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চীন থেকে আসা সিনোফার্মের টিকা দেওয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। টিকাদানের দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা জেলায় চারটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিনোফার্মের টিকা দেয়া হচ্ছে ।
সেগুলো হল- ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
বাংলাদেশকে মোট ১১ লাখ জোজ সিনোফার্মের টিকা উপহার দিয়েছে চীন। এর মধ্যে ৩০ হাজার ডোজ বাংলাদেশে কর্মরত নিজেদের কর্মীদের দেবে চীন। বাকি ১০ লাখ ৭০ হাজার ডোজ টিকা দেশের ৫ লাখ ৩৫ হাজার মানুষকে দেয়া হবে।
চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে এক কোটি ডোজ টিকা কেনার বিষয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সিনোফর্ম ভ্যাকসিন গ্রহণের উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর তালিকায় আরও যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে- ১. প্রবাসী কর্মী
২. সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী
৩. পুলিশ সদস্য
৪. সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী,
৫. সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি, সরকারি ম্যাটস ও সরকারি আইএইচটির শিক্ষার্থী
৬. সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা
৭. পদ্মা সেতু প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ও বিডার প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
৮. ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী
৯. কোভিড-১৯ মৃতদেহ সৎকারে নিয়োজিত ওয়ার্ড ও পৌরসভার কর্মী
১০. বাংলাদেশে বসবাসরত চীনা নাগরিক
সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে সিনোফর্ম ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, গণরোগ প্রতিরোধব্যবস্থা বা হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে হলে জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত যে পরিমাণ টিকা পেয়েছে, তাতে ৩ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।
বেলজিয়ামে তৈরি ফাইজারের ১ লাখ ৬ হাজার ডোজ টিকা এসেছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে। কোভ্যাক্স বাংলাদেশকে ১ কোটি ডোজ টিকা দেবে। শিগগিরই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ৮০০ ডোজ টিকা দেশে আসবে। সব মিলিয়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম ও ফাইজারের টিকার দুই ডোজ করে পাচ্ছেন মোট ৪৯ লাখ মানুষ। তারা দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৩ শতাংশ।
-এএ