আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন ‘সম্প্রসারিত হচ্ছে’। একইসাথে বৃদ্ধি পেয়েছে বাঘের সংখ্যা।
বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালে বাঘ শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। ২০১৮ সালের শুমারিতে এর সংখ্যা ১১৪টি পাওয়া গেছে। সুন্দরবনের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবন সম্প্রসারিত হচ্ছে।”
বর্তমান সরকার সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়ে সব সময় আন্তরিক ও বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, দেশের উন্নয়নে যে পদক্ষেপেই নেওয়া হোক না কেন সুন্দরবন এবং এর জীববৈচিত্র্য যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়। সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর জন্য সরকার কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে। সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চলে এর বিস্তৃতি ঘটানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সুন্দরবনের গাছ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় এবং বন অপরাধ দমনের জন্য ‘স্মার্ট পেট্রোলিংসহ’ নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। ২০১৭ সালে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এলাকা সম্প্রসারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সুন্দরবনের প্রায় ৫৩ শতাংশ এলাকা অভয়ারণ্যের অন্তর্ভুক্ত।’
প্রায় দশ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার অংশ বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় পড়েছে; বাকিটা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায়।
শেখ হাসিনা জানান, জীববৈচিত্র্যের আধার সুন্দরবনে এখন ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড এবং ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণি পাওয়া যায়। বন্যপ্রাণির মধ্যে ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর, ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ২১০ প্রজাতির মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া আছে।
-এএ