আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সীমান্ত এলাকায় করোনা সংক্রমণের লাগাম টানতে না পারলে আরও চড়া মূল্য দিতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয় লকডাউন আর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা পরিকল্পিত না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন তারা। এ অবস্থায় তাদের মতে, টেস্ট, আইসোলেশন আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা জরুরি।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে সীমান্তবর্তী জেলাগুলো ছাপিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী ঢাকায় শনাক্তের হার ৪ শতাংশ বেড়ে লাফিয়ে এখন সাড়ে ৭ শতাংশ। সার্বিক শনাক্তের হার ১৩-১৪ শতাংশ।
লকডাউন হলেও তার বাস্তবায়নে ধীরগতি, ও সমন্বয়হীনতা যা সীমান্তবর্তী জেলার পাশাপাশি এর আশপাশের জেলাকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, জেলায় সিভিল সার্জনের জায়গায় যখন ডিসি মহোদয়রাই দায়িত্ব পালন করেন। তারা যেহেতু টেকনিক্যাল পার্সন না অনেক সময় গুরুত্ব সেভাবে বুঝতে না পারার সমস্যা দাঁড়ায়। যদি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা না যায় একদিকে যে রকম ওখানকার লোকজন ঝুঁকিতে পড়বে। তাদের অসুস্থতার সংখ্যা বেড়ে যাবে, মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি ওই জেলাগুলো থেকে পার্শ্ববর্তী জেলায় সংক্রমণ যাবে, অন্যান্য জেলায় সংক্রমণ যাবে, রাজধানীতে সংক্রমণ আসবে।
এমন বাস্তবতায় নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো, আক্রান্তদের আইসোলেশন নিশ্চিতের পাশাপাশি জনসাধারণের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার কোনো বিকল্প নেই বলেই মনে করের তারা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রেদওয়ানউর রহমান বলেন, এই সময়টাতে আমাদের টেস্ট, আইসোলেশন দুটোই বাড়াতে হবে। সঙ্গে সীমিত লকডাউন চালু রাখতে হবে। ফুল ওপেন হয়ে গেলে একসঙ্গে যে রাশ অফ পেশেন্ট হবে তা ঠেকানোর মতো ক্যাপাসিটি আমাদের হাসপাতালগুলোর নেই। মিনিমাম যতটুকু সম্ভব অতটুকু চলাচল করতে দিয়ে শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে পারলে এই সংক্রমণটা আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণ হবে।
সংক্রমণের এই হার দেশের তৃতীয় ঢেউ এর ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
-এএ