আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপের দেশ পর্তুগালে করোনা পরিস্থিতি আশানুরূপ উন্নতি হওয়ায় দেশটির কর্তৃপক্ষ খোলা মাঠে ঈদের জামাত আয়োজনের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন। গত বছর করোনার কারণে দেশটির রাজধানী লিজবনের ঐতিহাসিক প্রাসা দ্য মার্তিম মনিজ পার্কে ঈদের জামাত আয়োজনের অনুমতি মেলেনি। খোলা মাঠে ঈদের নামাজের জামাত করার অনুমতি পেয়ে লিজবনে বসকারী বাংলাদেশীসহ স্থানীয় মুসলিমরা বেশ খুশি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সভাপতি রানা তসলিম উদ্দিন বলেন, আমরা ২০১১ সাল থেকে এই পার্কে ধারাবাহিকভাবে বছরে দু’টি ঈদের জামাত আয়োজন করে আসছি। করোনা মহামারীর কারণে গত বছর ঈদের জামাত আয়োজন করার অনুমতি মেলেনি। এ বছর আমরা পর্তুগালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরিকল্পনা তাদের কাছে পেশ করলে তাতে কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ঠ হয়ে ঈদের জামাতের অনুমতি দিয়েছে।
লিজবনের বায়তুল মোকররম মসজিদের প্রধান ইমাম ও খতিব অধ্যাপক মুফতি আবু সাঈদ ঈদের জামাতের অনুমতি পেয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন, বছরের এ দিনটি পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক অভূতপূর্ব মিলন হয়। সবাই একসাথে জড়ো হয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। তিনি বলেন, ইউরোপের এই দেশে কয়েক হাজার মুসলমান একসাথে খোলা আকাশের নিচে নামাজ আদায়ের অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ যাবে না।
উল্লেখ্য, পর্তুগালের রাজধানী লিজবনসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে এবারে ঈদুল ফিতরের নামাজ খোলা মাঠে ও মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এ দিকে পর্তুগালের বিভিন্ন ঈদগাহে ও মসজিদে ঈদের নামাজের জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের পরিচালিত বায়তুল মোকাররম মসজিদ, লিজবন ও মার্তিম মনিজ জামে মসজিদের উদ্যোগে ঈদুল ফিতরের একমাত্র জামাতটি অনুষ্ঠিত হবে ঈদের দিন সকাল ৮টায়। তা ছাড়া লিজবন সেন্ট্রাল মসজিদে প্রথম জামাত সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ও দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা ৩০ অনুষ্ঠিত হবে।
এনটি