আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ফাটল মেরামতে তুরস্ক ও মিসরের মধ্যে আলোচনা চলছে। বুধবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে দুই দিনের 'রাজনৈতিক সংলাপের' অংশ হিসেবে এই আলোচনা শুরু হয়।
তুর্কি পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী সাদাত ওনাল ও মিসরীয় পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী হামদি লোজা আলোচনায় নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর আগে মঙ্গলবার মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠকের কথা জানিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই সংলাপে 'বিস্তৃত আলোচনার' মাধ্যমে 'দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ায়' লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে তুরস্কের সাথে দেশটির সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। মোহাম্মদ মুরসির মুসলিম ব্রাদারহুড দলটিকে মিসরে সন্ত্রাসের অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়।
সম্প্রতি সাবেক সেনা প্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসির অধীন মিসরের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সংকেতে তুর্কি কর্মকর্তারা সংকেত দিয়েছেন, যা দেশটির পূর্বের অবস্থানের বিপরীত।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ১২ মার্চ দুই দেশের মধ্যে 'গোয়েন্দা, কূটনীতিক ও অর্থনৈতিক' বিষয়ে যোগাযোগের কথা জানিয়ে বলেন, তিনি আশা করেন দুই দেশের মধ্যে 'শক্তিশালী' সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে।
এদিকে ব্রাদারহুড নেতা আশরাফ আবদুল গাফফার জানিয়েছেন, তুরস্কে অবস্থান নেয়া মিসরীয় বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিনিময়ে মিসরের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কার্যক্রম শুরু হবে না।
তিনি বলেন, 'তুর্কি কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুড বা অন্য কোনো গ্রুপের কাউকে তুরস্ক ছাড়ার জন্য বলা হবে না।'
সূত্র: আলজাজিরা
এনটি